বিক্ষুব্ধ হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ তল্লাশিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি গণতন্ত্রপন্থী কোনো কর্মীকে। আর কোনো আন্দোলন কর্মী লুকিয়ে থাকার শঙ্কা না থাকায় ক্যাম্পাস পরিষ্কারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খরব রয়টার্স।
জুন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শহরটির পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারী ও দাঙ্গা পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দেশী অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও লাঠিচার্জের জবাব দেয়। একপর্যায়ে শহরটির কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিলে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রপন্থীরা ধীরে ধীরে সরে পড়ে। অনেকে গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে।
এদিকে তল্লাশি অভিযান শেষ হলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। গতকালের সর্বশেষ তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মিরান্দা লো বলেন, সর্বশেষ তল্লাশিতে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিগগিরই আমরা ক্যাম্পাসের সংস্কারকাজ শুরু করব। এছাড়া শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ক্ষতি কমাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, লাল ইটের আঁকাবাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ক্যাম্পাস থেকে গত সপ্তাহে পালানোর সময় প্রায় ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে হংকং পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতার কাজে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষত পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়া ‘ভয়ংকর’ জিনিসপত্র সরাতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
