নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের সতর্কভাবে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহনের কারো যদি আইন নিয়ে কথা থাকে- মালিক হোক, শ্রমিক হোক টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু ধর্মঘট করে, মানুষকে জিম্মি করে আমরা সমর্থন করি না। মানুষকে জিম্মি করে কোন রাজনীতি আমরা অতীতে পড়ি নাই ভবিষ্যতেও করব না।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সড়কের ব্যাপারে আমরা সব সময় বলেছি যে, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। যে আইনটি করা হয়েছে আমরা মনে করি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। জনগণকে আমরা অনুরোধ করবো দেশবাসীকে আমরা অনুরোধ করবো কষ্ট হলো আপনারা আইন বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা করুন।’
এ সময় আমাদের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের ধর্মঘট নিয়ে কথা বলার সময় সতর্কভাবে কথা বলার পরামর্শ দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির দেওয়া চিঠির সমালোচনা করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে দেখলাম তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল। পার্লামেন্ট চলেছে পার্লামেন্টে তারা এই বিষয় নিয়ে একটি শব্দও বলে নাই। চিঠি দিয়েছে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে কোনটাই হয়নি হয়েছে সমঝোতা স্মারক। এই কথা বলার অর্থটা কি? এখন তো কোন ইস্যু নাই। একটা নিউজ করা নিউজ করা হচ্ছে বিএনপি'র একটা অভ্যাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই আপনাদের অনেক ইস্যুই আপনারা হারিয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন ইস্যু তৈরি করতে। আমরা অবশ্যই বারবার বলি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর যাই হোক দেশবিরোধী কোন কাজ অতীতে তিনি করে নাই ভবিষ্যতেও করবেন না। তিনি যা করেছেন দেশের স্বার্থে করেছেন।’
এ সময় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ও চালের দাম ওঠানামা বিষয়ে খাদ্য, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত এমন কোনো কাজ নেই যা করতে পারে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মুনাফা করতে চায়। আর একটি চিহ্নিত মহল মানুষের ক্ষুধা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনীতি করতে চায়।’
এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
