গ্যাস ও বিদ্যুতের মতো ইন্টারনেটও
আগামী দিনে শিল্প-কারখানার চালিকাশক্তি হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে শিল্প-কলকারখানা। তাই
সবার জন্য একই রেটে ইন্টারনেট পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। শনিবার
রাতে রাজধানীর আইসিসিবিতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, দেশে
২০২১ সালে ফাইভজি সেবা চালু হবে। ২০২৬ সালে প্রতিটি ইউনিয়নে এ সেবা সম্প্রসারিত
হবে। ফাইভজির রোডম্যাপ অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড কানেকশন প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার
লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর
উদ্দেশে মোস্তাফা জব্বার বলেন,
কেবল শহরকেন্দ্রিক ইন্টারনেটের কথা না ভেবে
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার বিষয়ে আপনাদের উৎসাহী হতে হবে।
ইন্টারনেট মহাসড়ক প্রশস্ত করতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সার্ভিস প্রোভাইডারদেরও
এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গত
১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে
এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের মাসিক ব্যয় ছিল ২৭ হাজার টাকা।
এটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন ১৮০ টাকা। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার
হতো সাড়ে সাত জিবিপিএস, যা চলতি বছর ১ হাজার ২৫০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ, কমিটির
সদস্য রেদোয়ান আহমেদ তৌফিক এবং সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আইএসপিএবি
সভাপতি আমিনুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রমুখ।
