চীনে আমদানি মেলায় সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশী প্যাভিলিয়ন

ফায়সাল করিম চীন থেকে

বিশ্ব বাণিজ্যের দরবারে নিজেদের বাজারকে আরো উন্মুক্ত করার প্রত্যয়ে চীনে বসেছে বিশ্বের বৃহত্তম আমদানি মেলা চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোর্টের (সিআইআইই) দ্বিতীয় আসর। দেশটির বাণিজ্য শহর সাংহাইয়ের ন্যাশনাল এক্সিবিশন ও কনভেনশন সেন্টারে গেল মঙ্গলবার শুরু হয় ছয় দিনব্যাপী এ মেলা। এতে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ১৫৫টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের পক্ষে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, বেপজাসহ মোট নয়টি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৪০ কোটি ভোক্তার দেশ চীনে বিশ্বের নানা দেশের উৎপাদিত পণ্যের বাজারকে আরো এক ধাপ উন্মুক্ত করতে এ মেলার আয়োজন। এছাড়া নানা দেশের বিনিয়োগ সুবিধা সম্পর্কে চীনা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতেও এ মেলা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা। উদ্বোধনী আসরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ আমদানি মেলাকে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের বিপরীতে উদারীকরণের এক মাইলফলক হিসেবে অ্যাখা দিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।

বাংলাদেশী প্যাভিলিয়নে গতবারের চেয়েও অনেক বেশি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, জানালেন মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মো. আতিক সরকার জানান, মেলার প্রথম আসরে বেশির ভাগ দর্শনার্থী কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত নেয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। তবে এবারের মেলায় প্রতিদিনই আমাদের প্যাভিলিয়নে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থী ভিড় করছেন। এদের অনেকেই বিস্তারিত জেনে বাংলাদেশে বিনিয়োগে চূড়ান্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ এরই মধ্যে শুরু করেছেন নিয়মিত যোগাযোগ।

বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইন চায়নার চেয়ারম্যান দাস তরুণ কান্তি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দূর ও বিনিয়োগ আকর্ষণে এ ধরনের মেলায় বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর এ মেলা ঘিরে আরো তত্পরতা বাড়ালে তা চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

মেলায় এসেছেন বাংলাদেশী তরুণ উদ্যোক্তা ফররুখ উদ্দিন। তিনি জানালেন, এ মেলা বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও চীনে পণ্য বাজার সৃষ্টির জন্য অনেকটা স্বর্ণ খনির মতোই। তাই ভবিষ্যতে এ আয়োজনে পণ্য নিয়ে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা থেকেই মেলায় আসা।

৩ লাখ ৬০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের মেলায় বসেছে নানা ধরনের পণ্যের সমাহার। এর মধ্যে বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা মূলত পাট, কৃষি ও চামড়াজাত পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন