ভিন দেশে পড়াশোনা...

ফিচার ডেস্ক

মাধ্যমিক শেষে, কেউবা আবার উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করার পর পাড়ি জমায় ভিন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য। বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীর জ্ঞানকেই সমৃদ্ধ করে না, বরং দায়িত্বশীল হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ক্ষমতাও তৈরি করে দেয়। সে অর্থে নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভিন দেশে পড়তে যাওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য ভালো তো বটেই। সেসব বিষয় নিয়েই আজকের আয়োজন

পড়াশোনায় ভিন্নতা

একেক দেশের শিক্ষা পদ্ধতি একেক রকম। এটা কম-বেশি সবার জানা। ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন আচার রীতি এবং আনুষঙ্গিক কিছু কারণেই শিক্ষা পদ্ধতি ভিন্ন হয় এক দেশ থেকে অন্য দেশের। দীর্ঘ সময় নিজ দেশের শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ফলে ভিন দেশে পড়তে গেলে প্রথমে খানিকটা সমস্যা হয় যেকোনো শিক্ষার্থীরই। তবে ভালো বিষয় হচ্ছে, সমস্যা উের যেতে খুব বেশি দিন লাগে না। কিন্তু সুবিধা হচ্ছে, ভিন্নতা কিংবা নতুনত্ব, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে সে শিক্ষার্থী। ফলে যেকোনো নতুনত্বকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা তৈরি হয় আপনাতেই। অন্যদিকে একটু নতুনভাবে শেখার অভিজ্ঞতা তো জমা হয়ই, যা যোগ্যতার পাল্লাটিকেও ভারী করে তোলে।

 

আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠা

শুধু পড়াশোনার জন্য নিজ দেশ, পরিবার থেকে অনেক অনেক দূরে আসা শিক্ষার্থীটি যে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে খুব দ্রুত, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর পেছনে বড় কারণ, হাত বাড়ালেই পাশে কেউ নেই। ফলে নিজের কাজ নিজেই করে নিতে হবে। আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার গুণই পরবর্তী জীবনে তাকে আরো একধাপ এগিয়ে থাকতে সাহায্য করবে।

 

ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা

ভিন্ন একটা দেশ, সে দেশের সংস্কৃতি একদম নতুন অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ থেকে ভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীরাও আসে পড়তে। ফলে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষার সহপাঠীর মাধ্যমে সে দেশ সম্পর্কে জানা হয়।

 

সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব তৈরি হওয়া

সম্পূর্ণ অচেনা পরিবেশেও ঠিকঠাক পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার কথা বলে। শিক্ষার্থী ঠিক তখনই ব্যাপারে পারদর্শিতা অর্জন করতে সক্ষম হয়, যখন সে চারপাশের সহপাঠীদের প্রতি যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে।

 

কর্মজীবনে সুবিধা

যেহেতু ভিন দেশে পড়ার সুবাদে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশেপড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে। সেহেতু কর্মজীবনে প্রবেশের পর খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না তাকে। বরং নতুন সবকিছুর সঙ্গেই খাপ খাইয়ে নেয়ার মানসিকতা থাকায় সহজেই কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন পরিস্থিতি চট করে সামাল দেয়ার অভ্যাসও তৈরি হয় বিদেশে পড়তে যাওয়ার কারণে। যে অভ্যাস কর্মক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধাই দেয়।

 

নিজেকে জানা

যা কখনই সম্ভব না, ঠিক তাই হয়তো সম্ভব হওয়া কাজের তালিকায় উঠে আসে শুধু পরিস্থিতির কারণে। পরিবারের বাইরে, নিজের দেশ থেকে অনেক দূরে বসে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে ঠিক গুছিয়ে ফেলে নিজ প্রয়োজনে। অর্থাৎ নিজেই সব কাজ করা, ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে নিজেকে জেনে নেয় সে পুরোটাই।

 

সূত্র: টপ ইউনিভার্সিটিজ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন