কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় ‘এমটি দেশ-১’ থেকে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় জাহাজ কর্তৃপক্ষকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে জাহাজের মালিকপক্ষের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মাঝনদীতে লাইটার জাহাজ ‘সিটি-৩৮’ নোঙর করা ছিল।
পরে তেলবাহী ট্যাংকার ‘দেশ-১’ ধাক্কা দিলে এর তলা ফুটো হয়ে নদীতে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১০
টনের বেশি তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
সংযুক্তা দাশগুপ্তা বণিক বার্তাকে বলেন,
সরেজমিন পরিদর্শনে তেল ছড়িয়ে নদীদূষণের প্রমাণ
পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুনানি শেষে এমটি দেশ-১ কর্তৃপক্ষকে
৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে তা দ্রুত পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে
সিটি-৩৮
জাহাজটি নোঙর করা ছিল। দেশ-১ জাহাজটি এসে সেটিকে ধাক্কা দেয়। এরপর দেশ-১ জাহাজের তলা
ফেটে যায়। শুনানিতে সিটি-৩৮ জাহাজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে
কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নারায়ণগঞ্জের ‘এমটি দেশ-১’-এর মালিক মো. নাসির উদ্দিন চট্টগ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হন। তার উপস্থিতিতেই এ জরিমানা করা হয়। বর্তমানে জাহাজ দুটি আটক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ওই
ট্যাংকারে প্রায় ১ হাজার ২০০ টন ডিজেল ছিল। পদ্মা জেটি থেকে তেল নিয়ে খুলনা যাওয়ার
কথা ছিল এটির। দুর্ঘটনার পর ১০ টনের মতো তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আট টনের বেশি
তেল তোলা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর
ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই দ্রুততার সঙ্গে অয়েল ট্যাংকার থেকে নিঃসরণ হওয়া
জ্বালানি তেল নদী থেকে তুলে নেয়ার কাজ শুরু করা হয়। বন্দরের ‘বে
ক্লিনার-১ ও ২’ এবং ‘কাণ্ডারি ১০ ও ১১’ দিয়ে নদীতে নিঃসরিত তেল তোলার কাজ চলছে। আশা করছি, দ্রুততম
সময়ের মধ্যে আমরা কাজ সমাপ্ত করতে পারব।