১৯৯৩ সালে কিং আংকেল ছবিতেও দেখা গেল দুই হাত প্রসারিত করার ভঙ্গি, কিন্তু একটি হাত সেখানে আউট অব ফ্রেম।
সম্ভবত সে সময় কেউ এটা ধারণা করে উঠতে পারেননি যে এ বিশেষ ভঙ্গিটি শাহরুখের সিগনেচার হয়ে উঠছে বা উঠবে
মুখে মধুর হাসি আর দুই হাত ছড়িয়ে যেন কাউকে আলিঙ্গনের আহ্বান—এমন দৃশ্যের কথা ভাবলে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় যার নামটি সহজেই চোখে ভেসে উঠবে, তিনি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।
বলা হয়, অভিনেতা অশোক কুমারকে তার অনেক ছবিতে ধূমপান করতে দেখা যেত, কারণ হাত দিয়ে কী করবেন, সেটা তিনি জানতেন না।
এক হাতে ধূমপান করতেন, অন্য হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখতেন।
শাহরুখের অবশ্য এ ঝামেলা নেই।
হাত ছড়িয়ে মিষ্টি হাসির আহ্বান তার ট্রেডমার্কের মতো, এমন ভঙ্গি ছাড়া তার যেকোনো ছবিই অসম্পূর্ণ মনে হবে দর্শকদের চোখে।
প্রায় সব ছবিতেই শাহরুখকে একবার হলেও দেখা যাবে দুই পাশে হাত ছড়িয়ে মুখে হাসি দিয়ে কাছে আসার আহ্বান জানাতে।
অমিতাভ বচ্চনের গভীর দৃষ্টির মতো শাহরুখের এ ছড়ানো হাতের ভঙ্গিটি তার ট্রেডমার্কের মতো।
শাহরুখের সর্বশেষ ছবি জিরোতে হাজির করা হয়েছে এক বামন আকৃতির মানুষ হিসেবে। জিরোতে শাহরুখের নাম বাউয়া সিং। এ ছোট আকৃতির বাউয়া সিংও হাত ছড়িয়ে দিতে ভোলেনি। মেরে নাম তু গানে শাহরুখ যখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বিজ্ঞানী (আনুশকা শর্মা) সঙ্গে রোমান্স করছেন, তখন দেখা যাবে সেই হাত ছড়িয়ে থাকা কিং খানকে। বাউয়া সিং বামন হলেও সবকিছুর পরে তিনি শাহরুখ খান, তাই ট্রেডমার্ক তো আর ঢেকে রাখা যায় না!