আইপিও প্রসপেক্টাস পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করবে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা কোম্পানিগুলোর প্রসপেক্টাস পর্যালোচনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ প্যানেল পাইপলাইনে থাকা কোম্পানিগুলোর আইপিও প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। প্রসপেক্টাসের কোনো তথ্য সন্দেহজনক মনে হলে কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে ডিএসই তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করবে। গতকাল ডিএসইর পর্ষদ এবং ডিবিএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে ডিএসই ও ডিবিএর পক্ষ থেকে জানানো হয় বর্তমানে গুটিকয়েক ইস্যু ব্যবস্থাপকের মাধ্যমেই অধিকাংশ আইপিও আসছে এবং সেগুলো নিরীক্ষা করছে হাতেগোনা কয়েকটি ফার্ম। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জানায়, যেসব ইস্যু ব্যবস্থাপক আইপিও আনতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নিরীক্ষা ফার্মগুলোর ওয়ার্কিং পার্টনারদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে। তাছাড়া নতুন আইপিওর লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রথম দিন ৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় দিন তার ওপর ৫০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পরদিন থেকে সার্কিট ব্রেকার ছাড়াই লেনদেন হবে। ডিএসইর পক্ষ থেকে আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও প্লেসমেন্টধারী একই ব্যক্তিএমন কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জানায়, এ ধরনের কোনো কিছু প্রমাণ পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে এক বছরের পরিবর্তে তিন বছরের লক ইন প্রযোজ্য হবে। এ নিয়ম এরই মধ্যে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

অর্থমন্ত্রীর কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে ব্রোকাররা: পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট মেটাতে অর্থমন্ত্রীর কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে ব্রোকাররা। এ তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হলে বাজারে গতিশীলতা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন তারা। গতকাল ২৫ জন প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে তার সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রোকারদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সহজ শর্তে ৩ শতাংশ সুদে ছয় বছরের (দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) জন্য সরকারের কাছে ঋণ হিসেবে এ অর্থ চেয়েছে ব্রোকাররা। ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অ্যাসেট ম্যানেজারসহ বাজারে বিনিয়োগ করে থাকে এমন সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ তহবিলের অর্থ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন