শারদীয় সৌন্দর্যের খোঁজে

মো. জাভেদ হাকিম

তেজোদীপ্ত সূর্যটা সেদিনের মতো তার আপন পথ খোঁজে। সূর্যরশ্মি কমার সঙ্গে সঙ্গে কাশফুলের রাজ্যেও যেন এবার মায়াবী ছন্দের ভালো লাগা ভর করে। প্রকৃতির সেই ছন্দের তালে তালে হেঁটে বেড়াই। জমিনের সাদা সাদা কাশফুল আরো নতুন রূপে চোখে ধরা দেয়

শরৎ যায় যায়। কিন্তু শরৎ-সৌন্দর্য কাশফুলের রাজ্যে যাব না, তা কী করে হয়? শরত্কালের সার্থকতাই নয়নাভিরাম কাশফুলের অবগাহন। আমি আর জসিম ছুটলাম সাভারের জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি লাগোয়া বালুর মাঠে। মোটরবাইকে ছুটলাম। ধারে কাছে ঘোরাঘুরির জন্য আমার অ্যাভেঞ্জারই হলো প্রিয় বাহন। বাইক চলছে। চলতে চলতে পৌঁছে যাই গন্তব্যে। ওয়াও! চারদিকে কাশফুল আর কাশফুল। এ যেন কাশফুলেরই রাজ্য! কাশফুলের মাঝ দিয়ে যাওয়ার পথমোটরবাইক এগিয়ে যায়। একটা সময় হারিয়ে যাই কাশফুলের ভিড়ে। বাতাসের দোলে কাশফুল নড়েচড়ে। বেশি বাতাসে কাশফুলে ঢেউ খেলে। এ এক অন্য জগৎ। যে জগতে শুধু প্রকৃতিই সব। ঘুরতে ঘুরতে দেখি, তেজোদীপ্ত সূর্যটা সেদিনের মতো তার আপন পথ খোঁজে। সূর্যরশ্মি কমার সঙ্গে সঙ্গে কাশফুলের রাজ্যেও যেন এবার মায়াবী ছন্দের ভালো লাগা ভর করে। প্রকৃতির সেই ছন্দের তালে তালে হেঁটে বেড়াই। জমিনের সাদা সাদা কাশফুল আরো নতুন রূপে চোখে ধরা দেয়। বেড়ে যায় ভালো লাগার মাত্রা। কাশফুলের জগৎ যেন সাদা চাদরে মোড়া। চারপাশ সাদা আর সাদা। মাথার ওপর শুভ্র শরতের মেঘের ভেলা। দেখতে দেখতে ভরসন্ধ্যা। বাইক স্টার্ট। কাশফুলের রাজ্য  পেছনে ফেলে, বাইক ছুটে যায় শহুরে যান্ত্রিকতায় মিশে যেতে।


যাবেন কীভাবে

গুলিস্তান, গাবতলী, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকার বিভিন্ন শহরতলির বাসস্ট্যান্ড থেকে সাভারমুখী বাস ছেড়ে যায়। নামতে হবে সাভার বাজার বা রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটো কিংবা রিকশায় বাড্ডা ভাটপাড়া জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটির বালুর মাঠ।

ভ্রমণ তথ্য

কাশফুলের রাজ্যে ঘোরাঘুরির মোক্ষম সময়, খুব ভোর কিংবা পড়ন্ত বিকাল। একাকী, দলবেঁধে বা পুরো পরিবার নিয়েও ঘুরে আসা যাবে। কারণ ওই এলাকায় যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলেই মনে হলো।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন