ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত তিনদিনের অভিযানে ৮৫টি পয়েন্টে হানা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩৪টি পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অন্যদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে কেসিসির চূড়ান্ত ঘোষণার পর গতকাল মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশা দেখা যায়নি। চালকরা রিকশা চালানো বন্ধ রেখে গতকাল মানববন্ধন পালন করেছেন। এ অবস্থায় শহরের সড়কে পায়ে চালিত রিকশা দেখা গেছে। বিকাল থেকে মহানগরীতে পায়ে চালিত রিকশা বাড়তে থাকে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন জানান, গতকাল মহানগরীর ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ডে অভিযান চালানো হয়। এ তিনটি ওয়ার্ডের ২২টি পয়েন্টে অভিযান চলে। এর মধ্যে ১৩টি পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ১৩টি পয়েন্টের মধ্যে আটটি ও ১৫ অক্টোবর ৫০টি পয়েন্টের মধ্যে ১৩টির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কেসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ খান।
কেসিসির উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোস্তাফিজুর রহমান, ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও চিন্ময় সাহা, কেসিসির লাইসেন্স অফিসার (যান) রবিউল ইসলাম রবি ও সহকারী লাইসেন্স অফিসার (যান) জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল চালু রাখার দাবিতে চলমান ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের মধ্যে যেসব চালক তাদের রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তাদের ওপর চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি রিকশার চাকার বাতাস ছেড়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
সাধারণ রিকশাচালকরা বলেন, পেটের দায়ে ব্যাটারি খুলে রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। নেতারা তো আর ঘরে চাল কিনে দেবেন না। বসে থাকলে ঘরের লোকজন না খেয়ে থাকবে। এ কথা চিন্তা করেই ব্যাটারি খুলে ভোর থেকে সড়কে নেমে পড়েছি। তবে পথে পথে রিকশা চলাচলে বাধার মুখে পড়তে হয়।
দৌলতপুর রিকশা মালিক-চালক ইউনিয়নের সহসভাপতি শেখ শওকত আলী জানান, আমরা মেয়রের জন্য নির্বাচনে কাজ করেছি, মেয়র এখন আমাদের পেটে লাথি মারছেন।