আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী : ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্টকে কলঙ্কিত অধ্যায় উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী ঘাতক চক্রের হাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নৃশংস ঘটনা কেবল বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদত্বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালি স্মরণ এবং তার আদর্শ ধারণ করবে।

এমএ মান্নান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা দেশকে পিছিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী পিতা ও পরিবার হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি। তাই তারা যেখানেই থাকুক না কেন, শিগগিরই তাদের দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, আফতাব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পিপি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার শাহানা রব্বানী, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম প্রমুখ।

এর আগে সকালে পরিকল্পনামন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তারা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেট চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন