৬ কার্যদিবসে বিআইএফসির দর বেড়েছে ৫৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেড ক্যাটাগরিতে থাকা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) শেয়ারদর বাড়ছেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুসারে মাত্র ছয় কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।

গত ৩১ জুলাই বিআইএফসির শেয়ারদর ছিল ২ টাকা ১০ পয়সায়। মাত্র ছয় কার্যদিবসের ব্যবধানে ৮ আগস্ট এর শেয়ারদর বেড়ে ৩ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়ায়।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি বিআইএফসির পরিচালনা পর্ষদ। গেল হিসাব বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ৭৯ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৬ টাকা ৪০ পয়সা।

এদিকে চলতি ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) বিআইএফসির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের প্রথমার্ধে যা ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩০ জুন এর শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ২৩ পয়সা।

জানা যায়, ৯৫ শতাংশের বেশি খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত সঞ্চিতি সংরক্ষণ না করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করেছিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতভাগ সঞ্চিতি সংরক্ষণে বাধ্য করায় নতুন করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হয় তাদের। এতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি বার্ষিক লোকসান ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সায় দাঁড়ায়, আগের হিসাব-নিকাশে যা ৯ টাকা ৩৪ পয়সা প্রকাশ হয়েছিল। আর্থিক দুরবস্থার কারণে ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বিআইএফসি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।

গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২ টাকা ১০ পয়সা ও ৮ টাকা ১০ পয়সা।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন