জলবায়ু পরিবর্তন ও ধরিত্রীর ভবিষ্যৎ

মোশাররফ হোসেন

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন আজ বিশ্বব্যাপী চরম উত্কণ্ঠার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ক্রমেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। মূলত জলবায়ুর উপাদানগুলোর দীর্ঘমেয়াদি গড় পরিবর্তন প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই জলবায়ু এবং বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানগুলোর পরিবর্তনে ঘটে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির নেতিবাচক প্রভাব মানুষের সভ্যতা-সাংস্কৃতিক, দৃষ্টিভঙ্গি, লোকাচার-লোকরীতি, বিবাহ ব্যবস্থা, প্রচলিত প্রথা, শিল্প-সাহিত্য, রীতিনীতি, ঐতিহ্য আচার-অনুষ্ঠান, জন্মহার-মৃত্যুহার, অপরাধপ্রবণতা, মন-মেজাজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে দারুণভাবে প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। বিশ্ব উষ্ণায়নের হার ক্রমে বাড়ার ফলে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় কারণ হচ্ছে পৃথিবী পৃষ্ঠে মানুষের ক্রিয়াকর্ম।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বাড়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৈরী প্রভাব পড়ছে, অ্যাসিড বৃষ্টি, জীবজন্তু ধ্বংসসহ নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অপরিকল্পিত শহরায়ন, শিল্পায়ন, অবাধে বন উজাড়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি, আধুনিকতার স্রোতে গা ভাসানোর ফলে গ্রিনহাউজের প্রভাব, পাহাড় কাটা, কল-কারখানা ও যানবাহনের বিষাক্ত ধোঁয়া, শিল্পের বর্জ্য, প্রযুক্তিগত বর্জ্য অর্থাৎ ই-বর্জ্য অতিরিক্ত জ্বালানি পোড়ানো, বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সিএফসি গ্যাস নিঃসরণ, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ রোধকরণ পানি-মাটি বায়ুদূষণ নদীর নাব্যতা হ্রাসকরণ, নির্বিচারে ভূগর্ভের পানি উত্তোলন ইত্যাদি কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছে।

অপরিণামদর্শী হয়ে মানবজাতি যখন প্রকৃতির বিপরীতে গিয়ে প্রতিযোগিতায় মত্ত, তখন প্রকৃতিও তার পাল্টা জবাব দিচ্ছে নানা উপায়ে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে প্রতিনিয়ত আমরা ভূমিকম্প, উষ্ণতা বৃদ্ধি, শীতলতা, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পাহাড়ি ভূমিধস, অতিবৃষ্টি, অকালবন্যা, অনাবৃষ্টি, মরুকরণ, খরা, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, আইলা, ফনী, বজ্রপাত, সুনামি, ভূস্তরের ফাটল, দাবানল, উল্কাপাত, অগ্ন্যুৎপাত, তুষারপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস মত্স্য খাত নানা উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও সময় পরিবর্তনের ফলে মাছের আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র ক্রমে সংকুচিত ও বিনষ্ট হচ্ছে, মহাসংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশীয় মাছের অবাধ বংশবিস্তার।

আবহাওয়া-জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দিনগুলোয় পৃথিবীকে মোকাবেলা করতে হবে মারাত্মক সংক্রামক-অসংক্রামক বেশকিছু সমস্যা—তীব্র দাবদাহ, বন্যা, বিভিন্ন সংক্রামক-অসংক্রামক রোগবালাই, খাদ্য সংকট, মেরুতে বরফ গলা, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় বৃদ্ধি। উৎপাদিত ফসলের পুষ্টিমান কমছে, বিশেষ করে ফসলের পুষ্টি উপাদান, যেমন জিংক, আয়রন কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেষ পর্যন্ত মানবদেহের ওপর। পরিণতি দাঁড়াচ্ছে রুগ্ণ-শুকনো, মেধাহীন, দুর্বল চিত্তের অসুস্থ জাতি। দীর্ঘমেয়াদে খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো দেশ তথা গোটা বিশ্বকে।

এখানেই শেষ নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফসল উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খাদ্যঘাটতি, আমদানিনির্ভরতা। শস্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য ঘাটতির কারণে প্রয়োজনীয় শিল্পের কাঁচামাল সংকট তথা শিল্প-কারখানায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। বেকারত্বের হার বাড়ছে দিন দিন।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করে বলেন, প্রাকৃতিক জগতে উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দিনপঞ্জিকায় আসবে ব্যাপক পরিবর্তন, শরত্কালের আগাম আগমনের ফলে হয়তো কিছু কিছু উদ্ভিদের পাতা গজানো, ফুল ফোটা প্রাণীর ডিম পাড়া আগে বা পরে হবে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং পানির অম্লত্বের কারণে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত, আবাসস্থলের পরিবর্তন ইত্যাদি হতে পারে।

তাপমাত্রা বাড়ার কারণে পেকামাকড় ও জীবাণু বিস্তার এবং সংক্রামণের হার বেড়ে যেতে পারে। ফলে রোগব্যাধি ও মহামারী অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে।

পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না বহু প্রাণী ও উদ্ভিদ। পরিণতিতে ঘটে চলেছে জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি, আর রয়েছে উন্নত দেশের চাপিয়ে দেয়া নীতি বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড, গ্লোবালাইজেশন, করপোরেট বিজনেস, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদি। নানাভাবে গরিব দেশের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। ক্ষতির প্রবাহটা পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর।

লেখক শহিদুল ইসলামের সমাজ-জীবন ও সংস্কৃতি বইয়ের ১০৬ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে—

ওয়ার্ডওয়াইড লাইফ ফান্ড বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর আয়তনের সমতুল্য আরো দুই গ্রহের সন্ধান করতে হবে। কারণ এ সময়ের মধ্যে পৃথিবীর সব সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাবে। যেখানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে বা সেখানে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সৃষ্টি-কৃষ্টি, স্বপ্ন সব জীবনবোধ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং বিশ্ববাসীকে সত্য জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসংযত জীবন পরিহার করে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কিছুটা কমাতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাপক জনসচেতনতা ফলদায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

মানুষের চরিত্র গঠন, রাষ্ট্রীয়, সংগঠন এবং বৃষ্টি সংস্কৃতির ক্রমবিকাশে আবহাওয়া-জলবায়ু-ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ১৩ কোটি ৩৪ লাখ মানুষের মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমবে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে—অধিক তাপমাত্রা-তাপমাত্রাজনিত রোগ, ভারি বর্ষণ, আর্দ্র আবহাওয়া। বায়ু ও পানি বাহিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, অ্যাজমা-অ্যালার্জি, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ডিহাইড্রেশন, অপুষ্টিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে। তাতে জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ মারা যায়।

মানুষ নিজেই তার কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী থাকবে। অদূরভবিষ্যতে, অনাগত প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্নে সঠিক সুন্দর, যথার্থ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে, পরিবর্তিত আবহাওয়া জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় মানিয়ে নিতে না পারলে প্রকৃতি সময়মতো পাল্টা জবাব দিচ্ছে আরো দেবে। আখেরে সমাজ-সভ্যতা তথা মনুষ্যসহ সব প্রাণিকুল হবে বিলুপ্তির পথের পথিক।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) থেকে প্রকাশিত বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যের প্রতিবেদন ২০১৯-এ উঠে এসেছে—বিশ্বের জীববৈচিত্র্য কমার কারণগুলোর মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ মনুষ্যসৃষ্ট প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণ। জীববৈচিত্র্য বেড়ে ওঠার এলাকা কমে যাওয়া, পরিবেশ দূষণ ও ভূমির ধরনের পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের তথ্যানুসারে ২০৩০ সালের পর নদীর প্রবাহ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। ফলে এশিয়ায় পানিস্বল্পতা দেখা দেবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জেমস হানসেন বলেছিলেন, এভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা কোনো সাধারণ ভয়ের বিষয় নয়, এটি নীরবে খেতে এসেছে বিশ্ব জনপদকে।

মানুষ আজ যে পদক্ষেপ নেবে, তা নির্ধারণ করবে অনাগত প্রজন্মের অস্তিত্বের বিষয়টি। তাই কালক্ষেপণ না করে বিশ্বের সবাইকে এখনই সোচ্চার হতে হবে। নিম্নে কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

১. জীববৈচিত্র্য চিরবিলুপ্তির করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে সর্বাগ্রে সঠিকভাবে জানতে ও বুঝতে এবং মানার চেষ্টা সময়ের দাবি। এর কোনো বিকল্প নেই; ২. সব শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এ ধরিত্রী আমার আপনার আমাদের সবার; ৩. বনাঞ্চল বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আবাসস্থলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে; ৪. জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তির পথকে রোধ করতে সঠিক সুন্দর বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা জরুরি; ৫. পরিবেশবান্ধব টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার খুব জরুরি; ৬। পরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন, গ্রিনহাউজ, গ্যাস নিয়ন্ত্রণ। শিল্পবর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, নদীর নাব্যতা ঠিক রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, আন্তঃনদী সংযোগ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রিত উপায়ে সার-বিষ ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত বালাই দমন পদ্ধতি অবলম্বন, জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানো খুব দরকার; ৭। টেকসই উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক সব পরিবেশ আন্দোলনে শুধু এক-দুটি দেশ সম্পৃক্ত না হয়ে সব দেশকে একসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একমত পোষণ করে যথাযোগ্য বাস্তবায়নের সঠিক সুন্দর কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া খুব জরুরি; ৮. জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী যে বা যারা, তাদের চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ নীতিমালার আওতাভুক্ত করতে হবে; ৯. আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত সব কর্মসূচি ও বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্ত নিজ নিজ দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করতে হবে; ১০. আঞ্চলিক সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করাও খুব জরুরি; ১১. বৃক্ষরোপণ, বন সৃজন, বনাঞ্চল কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি কথায় ও কাজে আটকে না থেকে বাস্তবায়নের দিকে ধাবিত হতেই হবে; ১২. পরিবেশের জন্য সরাসরি নেতিবাচক প্লাস্টিকপণ্য যেটি মাটিতে মেশে না এমন পদার্থের ব্যবহার বাদ দিয়ে পচনশীল দ্রব্য, পরিবেশের জন্য উপযোগী, স্বাস্থ্যসম্মত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পাট তৈরি পণ্যের ব্যাপক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই এবং ১৩. ব্যাপক জনসচেতনতা ও সত্য জীবনদর্শনমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে, যাতে তারা পরিবেশকে ধ্বংস না করে সংরক্ষণে অনুপ্রাণিত হয়। আমরা বিশ্বের সব মানুষ এক হয়ে আমাদের ধরিত্রীকে বসবাসের উপযোগী করে তুলব—এই আমাদের অঙ্গীকার।

 

মোশাররফ হোসেন: শিক্ষক

সরকারি ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন