সিল্করুট

হাজার বছরের গন্তব্য ওয়াদি আস সালাম

আহমেদ দীন রুমি

কবরস্থানের মধ্য দিয়ে চলে গেছে ৪২টি পথ ছবি: আব্দুল রহমান রাফাতি

ওপর থেকে দেখলে মনে হয় জনবহুল নগরী। ইটের স্থাপনা যেন পাশাপাশি লেগে থাকা ঘর। কিন্তু একটু সময় গেলেই ভেঙে যায় ভুল। স্থাপনাগুলো ঘর না, কবর। জায়গাটা নগরী বটে, তবে মরদেহের। লাখো মানুষের স্মৃতিচিহ্ন জিইয়ে রাখা নগরী। ইরাকের নাজাফে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গোরস্তান ওয়াদি আস সালাম। কত রাজা, রাজপুত্র, ইমাম, সম্ভ্রান্ত বণিক আর দাপুটে বিজ্ঞানী এখানে শায়িত, তার হিসাব নেই। প্রায় দেড় হাজার বছরে সেখানে ঠাঁই নিয়েছে ৫০ লাখের বেশি মানুষ।

মৃতের গন্তব্য হিসেবে নাজাফের জায়গা করে নেয়ার ইতিহাস পুরনো। সাসানীয় ও পার্থিয়ান আমল থেকেই মরদেহ কবর দেয়া হতো নাজাফে। বিশ্বাসীদের অনেকে মনে করেন, ইবরাহিমি ধর্মের প্রথম দিকের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নবীর কবরও এখানে বিদ্যমান। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের শহরগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কবরস্থান। হিরা ও কুফায়ও বেশকিছু গোরস্তান এখনো টিকে রয়েছে নানাভাবে। ওয়াদি আস সালামের গল্প তাই স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট দীর্ঘ। যেহেতু শিয়া মতবাদ মৃতের শেষকৃত্য নিয়ে সুন্নিদের তুলনায় বেশি আমেজপূর্ণ, ফলে গোরস্তানটি ঐতিহাসিক স্বাতন্ত্র্য নিয়েই মাথা উঁচু করেছে। মৃতের কবরে সৌধ নির্মাণের ক্ষেত্রে শিয়া মতবাদে অনুমোদন আছে। খোদ আহলে বায়াত তথা রাসুলের উত্তরপুরুষদের সমাধিতেও করা হয়েছে এমনটা। পরে সে প্রবণতা আরো প্রসারিত হয়েছে। বড় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রভাবশালী, সামরিক নেতা, সম্ভ্রান্ত বণিক, এমনকি সাধারণ মানুষের কবরেও দিনকে দিন গড়ে উঠেছে মিনার।

নাজাফ যতগুলো কারণে গুরুত্বপূর্ণ, তার মধ্যে প্রধান হলো ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলি (রা.)-এর সমাধি সেখানে। শিয়া ও সুন্নি উভয়ের কাছেই আলি সম্মানিত চরিত্র, ফলে নাজাফেরও রয়েছে বাড়তি মর্যাদা। অনেকেই বিশ্বাস করেন, সেখানে কবর হলে পরবর্তী জীবনে মুক্তির জন্য রাস্তা সহজ হবে। এদিক থেকে শিয়া বিশ্বাসীদের মধ্যে বেশকিছু হাদিসও প্রচলিত। হাদিস অনুসারে ইমাম আলি পরকালীন জীবনের জন্য একজন স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী। মৃত্যুর পরে কবরের শাস্তি কমানো, বিচার দিবসকে সহজ করে দেয়া এবং মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্যবর্তী সময়কে সংক্ষিপ্ত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারবেন ইমাম আলি। এ বিশ্বাসের সূত্র ধরেই ইতিহাসের বিভিন্ন সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ চেয়েছে তাদের কবর হোক ওয়াদি আস সালামে। অর্থাৎ ইমাম আলির পাশে। এছাড়া শিয়াদের বিশ্বাস অনুসারে, হজরত ইবরাহিমের পুত্র ইসহাককে সঙ্গে নিয়ে একবার ইরাকের নাজাফে এসেছিলেন। সেখানে তিনি নিজের নামে এক টুকরো জমি ক্রয় করেন। সে জমির টুকরোটিই ওয়াদি আস সালাম কবরস্থান। বিভিন্ন সময়ে এ গোরস্তানের ফজিলতও বর্ণনা করা হয়েছে শিয়া বিশ্বাসে। ফলে মানুষ স্বপ্ন দেখেছে নাজাফের মাটিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে। ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এর ভূমিকা ছিল সুদূরপ্রসারী।

বিশ শতকেই প্রতি বছর ২০ হাজার মরদেহ আনা হতো নাজাফে কবর দেয়ার জন্য। তাদের বড় অংশই আসত ইরান থেকে। কিছু অংশ আসত ভারত ও উসমানি সালতানাত থেকে। বর্তমানে প্রতি বছর এক লাখ মরদেহ নাজাফে কবরস্থ হয়। মরদেহের প্রধান অংশ আসে ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, লেবানন, সৌদি আরব, ও ইয়েমেন থেকে। যেহেতু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই মানুষ মৃত্যুর পরে নাজাফ যেতে চেয়েছে, ফলে মরদেহ পরিবহন করে নাজাফে নিয়ে যাওয়া একটা চর্চায় পরিণত হয় ইতিহাসে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নাজাফে মরদেহ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ব্যবসাও। সেটা এতটাই প্রবল ছিল যে বাধ্য হয়ে সে সময় পরিবহনকারীদের ওপর মরদেহ সংরক্ষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ফতোয়া জারি করতে হয়। পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় ও শুল্কও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়, যেন অরাজকতা তৈরি না হয়। বর্তমান সময়েও ওয়াদি আস সালামে মরদেহের জায়গা বরাদ্দ, মিনার নির্মাণ, কবর খনন, মরদেহকে গোসল করানোর পর কবরস্থ করার জন্য প্রস্তুতকরণ, সমাধির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাশে ধর্মীয় আচার সম্পাদন নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলে। ওয়াদি আস সালামকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বহুমাত্রিক বিশেষ পরিষেবা। পরিবহন, খাবার ও পানীয় সরবরাহ ও ধর্মীয় কার্যক্রমকে ঘিরে দিনকে দিন বেড়েছে আর্থিক লেনদেনও। ফলে মরদেহ কবরস্থ করাকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনেরও দীর্ঘ ঐতিহাসিক সিলসিলা বিদ্যমান ইতিহাসে। যিনি চান মৃত্যুর পর তাকে নাজাফে দাফন করা হোক, আলি (রা.)-এর সমাধির পাশে ওয়াদি আস সালাম তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইমাম আলির সমাধির সামনের চত্বরে একসময় কবর দেয়া হতো রাজপুত্র, সুলতান ও তাদের স্ত্রীদের। তবে ১৭৯১ সালে বড় ধরনের সংস্কারের মধ্য দিয়ে সেগুলোকে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। পরে আরো কয়েক দফা হয়েছে সংস্কার। নাজাফ থেকে কুফার পথ ধরে বেশ কয়েকটি গোরস্তান ছিল একসময়। বিংশ শতাব্দীর দিকে পার্কিং লট, পার্ক, সরকারি ভবন ও বেসরকারি আবাসিক ভবন নির্মাণের খাতিরে বেশকিছু কবর সরিয়ে ফেলা হয়। বিভিন্ন সময়ে সংস্কার ও পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বদলেছে চেহারা। নাজাফের কবর বলতে এখন কেবল ওয়াদি আস সালাম গোরস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে ৩০ বছরে গোরস্তানটির আকার বেড়েছে কয়েক গুণ। ১৯৭৩ সালে গোরস্তানের আকার ছিল ১৯৬ হেক্টর, ২০১৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে এক হাজার হেক্টরে। আকারের এ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ছিল ইরাক যুদ্ধ ও আইএস উগ্র গোষ্ঠীর উত্থান।

ওয়াদি আস সালাম গোরস্তানের আকৃতি আয়তাকার। নিচু কংক্রিটের দেয়াল ও কয়েকটি গেট রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্বে বিবর্ধিত। পুরো অংশটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত পুরনো গোরস্তান। উত্তর-পূর্বে অবস্থিত নতুন গোরস্তান। এখানে শায়িত মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখ বলে ধরে নেয়া হয়। আয়তন বিবেচনায় হোক কিংবা কবরের সংখ্যা বিবেচনায়; এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম গোরস্তান। পৃথিবীর নানা প্রান্তের, নানা নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের মানুষ এখানে শায়িত। অতিকায় এ গোরস্তানের মধ্যে কবরে যাওয়া-আসার জন্য ৪২টি সড়ক রয়েছে। সেগুলোর অধিকাংশ দিয়েই থ্রি হুইলার চলাচল করতে পারে। শহর থেকে থ্রি হুইলারগুলো পর্যটকদের গোরস্তানের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত প্রত্যাশিত কবরের কাছে নিয়ে যেতে পারে। কবর জিয়ারতকারীদের জন্য সুবিধা হয় বিষয়টি।

গোরস্তানের পুরনো অংশে কবরগুলো একেকটা ইউনিট আকারে তৈরি হয়েছে। সেখানে যথেষ্ট পরিকল্পনার অভাব পরিদৃষ্ট হয়। কবরস্থ করার প্রক্রিয়াও ছিল সে সময়ে প্রাচীন প্রক্রিয়ায়। তবে নতুন গোরস্তানে অনেক কিছুই করা হয়েছে পরিকল্পনামাফিক। দুই পাশের সমাধিকে বিভক্ত করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, বংশ, পরিবার ও গোষ্ঠী এবং শহর অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। অধিকাংশ কবরস্থানের ক্ষেত্রেই এ নীতি মান্য করা হয়। কোনো বিশেষ পরিবারের মানুষ চায় মৃত্যুর পর তাদের প্রিয় মানুষ, আত্মীয় কিংবা ভৌগোলিক বৃত্তের মধ্যে কবরস্থ হতে। আবার কবর খুঁজে পাওয়ার সুবিধার জন্যও এটা করা হয়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যদেরও উদ্দেশ্য থাকে পারিবারিক পূর্বপুরুষদের সঙ্গে শায়িত হওয়ার বা কোনো বিশেষ গ্রামের সঙ্গে শায়িত হওয়ার জন্য। ভারতীয়, লেবাননীয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য গোরস্তানে বলতে গেলে অনেকটা পৃথক ইউনিট রয়েছে।

গোরস্তানের প্রতিটি সড়ক কিংবা গলি নানা রকমের চিহ্ন দিয়ে ভরা। কখনো মানুষের ছবি রয়েছে, কখনো মানুষের ছবি ছাড়া। সে চিহ্ন ও নাম দিয়ে বিশেষ ব্যক্তির নামে থাকা প্লটকে নির্দেশ করে। একটা বড় পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত প্লটের বিস্তৃতি ওয়াদি আস সালামে আট বর্গমিটার। সেখানে প্রায় আট-নয়টি কবর দেয়া যায়। কবর দেয়ার একটা পদ্ধতি হলো সেরদাব। সাধারণত এ ধরনের কবর দুই-চার মিটার গভীর। মরদেহ রাখা হয় নিচের দিকে, তারপর কয়েক পর্যায়ে দেয়া হয় মাটি। কবর দেয়ার এ পদ্ধতি প্রাচীন। প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার আমলেও এ ধরনের কবর প্রচলিত ছিল। ওয়াদি আস সালামের মাটিতে কবর দেয়ার ক্ষেত্রেও পদ্ধতিটি বেশ ফলপ্রসূ হিসেবে স্বীকৃত। কারণ মাটির প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কবরের ভিন্নতা লক্ষ করা যায় সচরাচর। সেদিক থেকে দেখলে ওয়াদি আস সালামের কবরগুলো মুসলিম সমাজে দেয়া কবরের প্রচলনসংক্রান্ত দীর্ঘ ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল। এই যেমন কবরের কতটুকু গভীরতা হওয়া দরকার, কতটা প্রশস্ত এবং মরদেহ কীভাবে রাখতে হয়, সবকিছু নিয়েই। মৃতের মাথা সাধারণত মক্কার দিকে মুখ করে রাখা হয়। মুসলিম কবরের বিশেষ রীতির মধ্যে এটাও একটা। শিয়া ও সুন্নিদের অধিকাংশই এটা অনুসরণ করে।

শিয়া-সুন্নি উভয়েই মনে করে, মৃত্যু ও কবর দেয়ার মধ্যবর্তী সময় হতে হবে খুব সংক্ষিপ্ত। কোনোভাবেই যেন একদিনের চেয়ে বেশি না হয়। এজন্য কবর দেয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত দ্রুততা থাকে। কোনো মরদেহ অন্য কোথাও কবর দেয়া হলে পরে নাজাফে সরিয়ে আনার ব্যাপারে অনুমোদন দেয়া হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে গোসল, কাফন ও জানাজার জন্য তৈরি করতে হবে। মরদেহ গোরস্তানে নেয়ার আগে থেকেই তৈরি থাকবে কবর। তবে ওয়াদি আস সালামের ক্ষেত্রে আচার কিন্তু এখানেই শেষ নয়। মৃত্যুর পর মর্সিয়া, কবর জিয়ারত ও সমাধিস্থানে সৌধ নির্মাণ করাও জরুরি বলে গণ্য করা হয় এখানে। শিয়া বিশ্বাসে জানাজায় সাধারণত দীর্ঘ সময় কোরআন ও হাদিস পাঠ হয়। আলোচনা হয় ইমামদের শাহাদত নিয়েও। পাশাপাশি থাকে মর্সিয়াসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। ওয়াদি আস সালামে দিনের সবসময়ই যাওয়া যায়। যাওয়া যায় সপ্তাহের সাতদিনই। তবে নাজাফের মানুষ সাধারণত শুক্রবার গোরস্তানে যায়। বছরে বেশি যায় রমজান মাসে। শিয়া ক্যালেন্ডারে বিশেষ দিনগুলোয়ও ওয়াদি আস সালামে থাকে ভিড়। লাইলাতুল কদরের রাত বিবেচনা করা হয় রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে থাকা বিজোড় রাত্রিগুলো। সাধারণত ২৩ ও ২৭ তারিখের রাতকে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। এ সময়ে গোরস্তানে জিয়ারতের ঢল নামে।

বিশ্বের বৃহত্তম গোরস্তান হওয়ায় ওয়াদি আস সালামের একটা দীর্ঘ ঐতিহাসিক বয়ানও রয়েছে। মনে করা হয় সেখানে বড় বড় নবী, ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তি কবরস্থ হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। আদম, নূহ, হুদ ও সালিহ কোরআনের উদ্ধৃত গুরুত্বপূর্ণ নবী, যারা এখানে শায়িত আছেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া আহলে বায়াত তথা মুহম্মদ (সা.)-এর পরিবারের সদস্যও এখানে রয়েছেন। ইমাম জাফর আস সাদিক যখন ইমাম আলির সমাধি জিয়ারতে আসতেন, তিনি একটা জায়গায় বিশ্রাম নিতেন। পরে সেখানে তার নামে গড়ে ওঠে সৌধ। সৌধ রয়েছে ইমাম মাহদির নামেও। সম্প্রতি দুটি সৌধই পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়াদি আস সালামে সবচেয়ে বেশি লোকমুখর সমাধি হলো সায়্যিত মুহম্মদ সাদিক আস সদরের কবর। তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৯৯ সালে দুই পুত্র মুমিল ও মুসতাফাসহ নিহত হন তিনি। সম্প্রতি সেখানে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে মিনার। তার সমাধির পাশে রয়েছে নামাজের জায়গাও। সেখানে নিহতের ছবি আঁকা দেখা যায়। একটায় তিনি নিজের লেখা বই পড়ছেন। অন্য জায়গায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায় ভাষণ দেয়া অবস্থায়। যেন দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সমাধির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতেও আধুনিকায়ন ঘটেছে।

ওয়াদি আস সালামের ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের। দেড় হাজার বছরে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও সংঘাতের সাক্ষী এ গোরস্তান। আরব, তুর্কি, আফগান কিংবা মোঙ্গল যুগ থেকে শুরু করে আইএসের উত্থান পর্যন্ত চিহ্ন ধারণ করে টিকে আছে এখনো। প্রতিদিন প্রবেশ করছে মরদেহ। সঙ্গে বাড়ছে ওয়াদি আস সালামের গল্প।

আহমেদ দীন রুমি: সহসম্পাদক, বণিক বার্তা