চিকিৎসক সংকটে
কাঙ্ক্ষিত
চিকিৎসা
সেবা
থেকে
বঞ্চিত
হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ।
যেকোনো
জটিল
রোগের
রোগী
আসলেই
রেফার্ড
করা
হচ্ছে
রংপুর
মেডিকেল
কলেজ
হাসপাতালে।
খোঁজ নিয়ে
জানা
গেছে,
১০০
শয্যা
থেকে
২৫০
শয্যায়
উন্নিত
করা
হলেও
এখনো
কুড়িগ্রাম জেনারেল
হাসপাতালে
নিয়োগ দেয়া হয়নি প্রয়োজনীয়
জনবল।
আর
১০০
শয্যার
প্রয়োজনীয়
চিকিৎসকের
পদের
অর্ধেক
দিয়েই
চালানো
হচ্ছে
চিকিৎসা
সেবা।
এছাড়াও উদ্বোধনের
দেড়
বছরের
মাথায়
প্রায়
নষ্ট
হয়ে
পড়ে
আছে
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম
জেনারেল
হাসপাতালের
আধুনিক
ভবনের
দুটি
লিফটই।
সিঁড়ি
দিয়েই ৭, ৮ সহ বিভিন্ন
তালায়
ওঠানামা
করতে
হচ্ছে
হার্টের
রোগীসহ
গুরতর
অসুস্থ
রোগীদের।
পাশাপাশি
চিকিৎসকসহ
জনবল
সংকটে
চরম
দুর্ভোগে
রয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। এ
অবস্থায়
আন্তঃবিভাগে
কোনোমতে
চিকিৎসা
সেবা
চালানো
হলেও
বহির্বিভাগে
আসা
রোগীদের
দাঁড়িয়ে
থাকতে
হচ্ছে
দীর্ঘ
লাইনে।
তাতেও
মিলছে
না
চিকিৎসকের
দেখা।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে
চিকিৎসা
সেবা
নিতে
আসা
আমেনা
বেগম
জানান,
ডাক্তার
দেখাতে
এসে
ঘণ্টার
পর
ঘণ্টা
লাইলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
তারপরও
ডাক্তারের
দেখা
পাওয়া
যায়
না।
ডাক্তার
বেশি
থাকলে
আমাদের
এই
হয়রানি হত না।
বিষয়টি স্বীকার
করে
১০০
শয্যার
জনবল
নিয়ে
কোনোমতে
চিকিৎসা
সেবা
চালানোর
কথা
জানায়
হাসপাতালের
তত্বাবধায়ক।
সমস্যা
সমাধানের
চেষ্টা
চলছে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা
যায়,
প্রায়
সময়
লিফট
বন্ধ
থাকায়
গুরুতর
রোগীদের
ধরে
সিঁড়ি বেয়ে বহুতল ভবনে
উঠতে
হচ্ছে
স্বজনদের।
আবার
হার্টের
রোগীদেরও
ওঠানামা
করতে
হচ্ছে
এই
সিঁড়ি
দিয়েই।
হাসপাতালের
দুটি
লিফটই
প্রায়
অকেজো
থাকায়
হয়রানির
শিকার
হচ্ছেন
তারা।
জানা গেছে,
কুড়িগ্রাম
জেলার
প্রায়
২৩
লাখ
মানুষের
উন্নত
চিকিৎসা
সেবার
জন্য
২০১৭
সালে
১০০
শয্যা
থেকে
২৫০
শয্যায়
উন্নিত করা হয় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে।
কিন্তু নিয়োগ করা হয়নি জনবল।
এরপর
সেবা
প্রত্যাশীদের
উন্নত
চিকিৎসার
জন্য
২০২৩
সালে
উদ্বোধন
করা
হয়
৮
তলা
বিশিষ্ট
নতুন
আধুনিক
ভবন।
হাসপাতালটিতে
১০০
শয্যার
জনবলের
অর্ধেকের
কম
চিকিৎসক
দিয়ে
টেনেহিঁছড়ে
চলছে
চিকিৎসা
সেবা।
কিন্তু
সম্প্রতি
নতুন
ভবনের
দুটি
লিফট
ও
পানির
পাম্প
প্রায়
অকেজো
হওয়ায়
চরম
দুর্ভোগে
পড়েছেন
রোগী
ও
স্বজনরা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল
হাসপাতালে
চিকিৎসা
সেবা
নিতে
আসা
রাবেয়া
বেগম
জানান,
হাসপাতালে
অসুস্থ
রোগী
নিয়ে
এসেছি।
লিফট
বন্ধ
এ
কারণে
অসুস্থ
রোগী
নিয়ে
সিঁড়ি
বেয়ে
উঠতে
হচ্ছে।
নতুন
ভবনে
লিফট
নষ্ট
থাকবে
কেন?
আমাদের
কষ্ট
করে
৭
ও
৮
তলা
ওঠানামা
করতে
হয়।
হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে
চিকিৎসা
সেবা
নিতে
আসা
আরেক
রোগী
জয়নাল
আবেদীন
জানান,
কোনো
বড়
রোগের
রোগী
এলেই
রংপুর
যেতে
বলে।
এখানে
চিকিৎসা
হয়
না। আমরা এ জেলার মানুষ।
আমরা
এখানেই
চিকিৎসা
নিতে
চাই।
ভালো
ভালো
ডাক্তার
চাই।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম
২৫০
শয্যা
বিশিষ্ট
জেনারেল
হাসপাতালের
তত্বাবধায়ক
ডা.
শহিদুল্লাহ
জানান, ১০০ শয্যার জনবল
দিয়ে
চিকিৎসা
সেবা
চালানো
হচ্ছে।
সেখানেও
জনবল
সংকট
রয়েছে।
লিফটের
সমস্যা
সমাধানে
ও
৮তলা
ভবনের
জন্য
আরো
লিফট
স্থাপনের
জন্য
সংশ্লিষ্ট
বিভাগকে
জানানো
হয়েছে।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে
৪৩
জন
চিকিৎসক
পদের
বিপরীতে
রয়েছে
মাত্র
২০
জন।
আর
প্রতিদিন
আউটডোরে
চিকিৎসা
সেবা
নিতে
আসছেন
প্রায়
আড়াই
হাজারের
বেশি
রোগী
এবং
ভর্তি
রোগীর
সংখ্যা
প্রায়
সাড়ে
৪শ।
হাসপাতালে
প্রয়োজনীয়
জনবল
নিয়োগ
দিতে
সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষকে
বারবার
অবগত
করা
হচ্ছে
বলেও
জানিয়েছেন
তিনি।