হারিকেন হেলেনের
আঘাতে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অন্তত ৪৩ জন
মারা গেছেন। লাখ লাখ মানুষ রয়েছেন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়। ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড
অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে দেখা হচ্ছে হেলেনকে, যা গত বৃহস্পতিবার
রাতে উপকূলে আঘাত হানার পর জর্জিয়া এবং ক্যারোলাইনা রাজ্যগুলোর দিকে অগ্রসর
হয়েছে। খবর বিবিসি।
হেলেনের শক্তি
উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এলেও আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে, তীব্র বাতাস,
বন্যা এবং টর্নেডোর হুমকি শেষ হয়ে যায়নি। এই হারিকেনে ফ্লোরিডা ও
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাস্তা এবং বাড়িঘর ডুবে গেছে। বীমা কোম্পানি এবং আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এই ঝড়ের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির
পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৪ ক্যাটাগরি
শক্তির ঝড় হিসেবে হেলেন বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলে আঘাত হানে এবং ভূমিতে আঘাত করার
পর প্রায় ছয় ঘণ্টা এ হারিকেন পূর্ণ শক্তিতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানায় ফেডারেল
ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার
(এনএইচসি) জানিয়েছে,
ফ্লোরিডার উপকূলের কিছু স্থানে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৫ ফুট (৪ দশমিক ৫
মিটার) ওপর পর্যন্ত পানি পৌঁছেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে
আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ের তালিকায় এই হারিকেন ১৪তম। এই ঝড়ের প্রস্থ প্রায়
৪২০ মাইল (৬৭৫ কিলোমিটার)। ঝড়ের বিশালতার কারণে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি এবং ক্যারোলাইনা রাজ্যজুড়ে তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টি অব্যাহত
রয়েছে।
ফ্লোরিডায়
শুক্রবার থেকে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে,
যার মধ্যে পিনেলাস কাউন্টিতে পাঁচজনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে
কাউন্টির শেরিফ বব গুয়াল্টিয়েরি জানিয়েছেন।
জর্জিয়ার হুইলার
কাউন্টিতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প জানিয়েছেন, তার রাজ্যে অন্তত
১৫ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে একজন উদ্ধারকর্মীও ছিলেন। কেম্প
উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য ১ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের
নির্দেশ দিয়েছেন।
জর্জিয়ার গভর্নর
আরো বলেছেন যে, ১৫০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এখনো অনেকে ভবনের ভেতর আটকে আছেন।
সাউথ
ক্যারোলাইনায় অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন বলে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে। প্রতিবেশী নর্থ
ক্যারোলাইনায় অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে
ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন জানিয়েছেন, সেই রাজ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।