মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারে যে ফিচারগুলো থাকা প্রয়োজন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: আনস্প্ল্যাশ

দৈনন্দিন যোগাযোগের জন্য একটি অপরিহার্য টুল হয়ে উঠেছে মেসেজিং অ্যাপ। গুগল ও অ্যাপ স্টোরে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জারের মতো এমন অনেক মেসেজিং অ্যাপ রয়েছে, কিন্তু সব প্লাটফর্ম একই রকম ফিচারের সুবিধা প্রদান করে না। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মেকইউজঅব মেসেজিং অ্যাপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের কথা জানিয়েছে, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কার্যকর যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।

ফাইল শেয়ারিং

চ্যাট করার সময় কথোপকথন ছাড়াও ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও বা অডিও ফাইল শেয়ার করার প্রয়োজন হতে পারে। তৃতীয় পক্ষের সেবাগুলো যেমন ই-মেইল বা ক্লাউড শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভর না করে কাজটি অ্যাপের ভেতরেই সহজভাবে হওয়া কাম্য। এছাড়া উচ্চ মানের বা বড় আকারের মিডিয়া ফাইল পাঠানোর সুযোগও থাকা উচিত এসব অ্যাপে।

গ্রুপ চ্যাট

প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টদের মতে, দুটি কারণে মেসেজিং অ্যাপে গ্রুপ চ্যাটের সুবিধা থাকা দরকার। প্রথমত, এগুলো ব্যক্তিতে একই আগ্রহের মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়ত, পেশাদার ও ব্যক্তিগত কাজে একই বার্তা একাধিক মানুষের সঙ্গে শেয়ার করা সহজ হয়ে যায়। ফলে একই তথ্য বা বার্তা একজন একজন করে প্রত্যেককে পাঠানোর ঝুটঝামেলা থাকে না।

ডার্ক মোড

শুধু মেসেজিং নয়, প্রতিটি অ্যাপেই ডার্ক মোড বা নাইট মোড থাকা উচিত বলে মনে করেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা। ডার্ক মোডকে তারা ভিজ্যুয়ালি আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি চোখের চাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ এটি স্ক্রিন থেকে বের হওয়া নীল আলোর পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

ভয়েজ ও ভিডিও কল

অনেকেই আছেন যারা টাইপ করে মেসেজিং করতে পছন্দ করেন না। কারণ মেসেজে অনেক সময় মুখের অভিব্যক্তি বা ব্যক্তির অনুভূতি দেখানো যায় না, যা বোঝাপড়ার সমস্যার কারণ হতে পারে। ইমোজি ও স্টিকার কিছুটা সাহায্য করলেও এগুলো পুরোপুরি সমাধান নয়। আবার কিছু কথোপকথন খুব গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে বলার দরকার হয়। তাই প্রযুক্তিবিদরা এমন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারের পরমর্শ দেন, যেখানে ভিডিও ও ভয়েস কলের অপশন আছে।

কন্টাক্ট সিংকের অপশন

মেসেজিং অ্যাপ ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের কন্টাক্টগুলো সিংক করার সুবিধা থাকা দরকার, কারণ কন্টাক্টগুলো ম্যানুয়ালি প্রবেশ করার ঝামেলা পোহাতে না হয়। অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেখানে কন্টাক্টের কোনো নতুন ব্যক্তি করে প্লাটফর্মের যুক্ত হলে ইনবক্সে তা জানিয়ে দেয়া হয়।

মেকইউজঅবের মতে, বার্তা, ফাইল ও মিডিয়ার ক্লাউড ব্যাকআপ করতে অ্যাপটির সক্ষমতা থাকা জরুরি। এতে করে বার্তা বা তথ্য হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে না। এছাড়া অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (টুএফএ) ও নিষ্ক্রিয় বার্তা বা ডিজঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ (স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা মুছে যাওয়া) সিস্টেম আছে কিনা তাও নিশ্চিত হতে হবে। I

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন