যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ শুনানির মুখে টিকটক

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে মার্কিন আইনপ্রণেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে গত এপ্রিলের শেষ দিকে একটি বিল পাস হয়, যা পরবর্তী সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয়। আইনে বলা আছে,  আগামী নয় থেকে এক বছরের মধ্যে প্লাটফর্মটি বিক্রি করতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হবে। তবে সম্প্রতি টিকটক ও এর পেরেন্ট কোম্পানি বাইটডান্স আইনটি ঠেকাতে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ শুনানির মুখোমুখি হয়েছে। খবর রয়টার্স। 

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে চীনা মালিকানাধীন টিকটকের ভাগ্য নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ বিষয়ে মৌখিক যুক্তিতর্ক শুনবেন কলম্বিয়া জেলায় মার্কিন আপিল আদালত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে টিকটকে বেশ সক্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটফর্মটির প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের আইনটিকে অসাংবিধানিক, বাকস্বাধীনতার অধিকার ও দেশটির মুক্ত ইন্টারনেটের দাবির লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে টিকটক ও বাইটড্যান্স। 

বাইটডান্স জানিয়েছে, প্রযুক্তি, ব্যবসায়িক বা আইনি যে কারণেই হোক প্লাটফর্মটি বিক্রি সম্ভব নয়। এদিকে আদালতের রায় না পেলে ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে। সার্কিট বিচারক শ্রীনিবাসন, নেওমি রাও ও ডগলাস গিন্সবার্গ টিকটক ও ব্যবহারকারীদের আনা আইনি চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা 

করবেন। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হলেও প্লাটফর্মটির বিক্রির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে আরো তিন মাস সময় দেয়া হবে।

টিকটক ও বিচার বিভাগ আগামী ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রায়ের দাবি জানিয়েছে। যাতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

হোয়াইট হাউজ বলছে, তারা চায় জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকের চীনা মালিকানার অবসান হোক। তবে প্লাটফর্মটির নিষেধাজ্ঞা চায় না তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন