জনমত জরিপ

ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে কমলা হ্যারিস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন বলে নতুন এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে। হ্যারিসকে এগিয়ে রাখলেও জনমত জরিপে বলা হয়েছে, ‘দোদুল্যমান’ অঙ্গরাজ্যগুলোয় দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে। আর এসব অঙ্গরাজ্যই হয়ে উঠবে জয়-পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এদিকে আগামীকাল প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যানুসারে, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনমত জরিপে জাতীয় গড়ে কমলার সমর্থন ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ট্রাম্পের ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০ জুলাই কমলা ও ট্রাম্পের সমর্থন ছিল যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ৪ ও ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ। এর কয়েকদিন পর কমলার সমর্থন কিছুটা কমলেও ১ আগস্টের হিসাবে ট্রাম্পকে টপকে কমলা এগিয়ে যান। তখন কমলার সমর্থন দাঁড়ায় ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, আর ট্রাম্পের ৪৩ দশমিক ৪। এর পর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপে কমবেশি দেখা গেলেও কমলাকে পেছনে ফেলতে পারেননি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। 

জনমত জরিপে এগিয়ে থাকার মধ্যে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে অংশগ্রহণ করছেন কমলা হ্যারিস। জুলাইয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পর কমলার যোগ্যতা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কিন্তু অল্পকিছু দিনের মধ্যে জনমত জরিপে তিনি এগিয়ে থাকায় তাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর আত্মবিশ্বাস আরো বাড়বে বলে আশা করছে কমলা শিবির। অন্যদিকে এ বিতর্ক থেকে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরে আরো গতি বাড়বে বলে আশা করছে রিপাবলিকানরা। 

উভয় প্রার্থী বর্তমানে নজর রাখছেন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়ার মতো কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জ্যামাইকান-ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। বিশ্লেষকরা বলছেন, কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ায় সাম্প্রতিক কালে ব্যাকফুটে থাকা ডেমোক্র্যাটরা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে নারী, অভিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটাররা সমর্থন দিতে পারেন কমলা হ্যারিসকে। এছাড়া যেসব ভোটার বাইডেনকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারাও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক অ্যালান মিনস্কি আল জাজিরাকে বলেন, অন্তত বাইডেনের চেয়ে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। বিশেষ করে নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন আদায় করে নিতে পারেন তিনি।

এদিকে এবিসি টেলিভিশনের আয়োজনে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া আগামীকাল শহরে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। জনমত গঠনে নির্বাচনী এই বিতর্কের গুরুত্ব অনেক। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে বাইডেনের ওপর চাপ শুরু হয় গত ২৭ জুনের বিতর্কের পর। ওই বিতর্কে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন তার প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নাস্তানাবুদ হন। এমনকি কোনো প্রশ্নের সাবলীল জবাব দিতে পারেননি তিনি। এর পরই ডেমোক্র্যাট শিবিরে তুমুল আলোচনা শুরু হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন বাইডেন। দলের স্বার্থে আগামী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তার ওপর চাপ দিচ্ছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতারা। এরপরইন বাইডেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন