প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়
বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইতে হলে আইন অনুযায়ী
লিভ টু আপিল ফাইল করতে হয়; লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে সরকারি চাকরিতে সব কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও
চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ
নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ১০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল করে পরিপত্র
জারি করা হয়। ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। গত ৫ জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি
কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের
সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের পর নতুন করে আন্দোলনে নামেন
শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে তারা কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে
বিক্ষোভ করছিলেন। ৯ জুলাই চার দফা থেকে দাবি এক দফায় নামিয়ে আনেন
আন্দোলনকারীরা। তাদের এক দফা হলো—সব গ্রেড থেকে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল এবং
অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা
পদ্ধতি সংশোধন করতে হবে।
এর মধ্যে সরকারি চাকরির
কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চার সপ্তাহের
স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই দিন স্থিতাবস্থার ব্যাখ্যায়
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট
ম্যাটারে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। হাইকোর্টের রায়ের আগে যেমন ছিল, সব তেমন থাকবে।
অর্থাৎ কোটা বাতিলসংক্রান্ত ২০১৮ সালের যে পরিপত্র কার্যকর ছিল, সেটা বহাল থাকবে।’
আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
তবে আপিল বিভাগের
স্থিতাবস্থার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা সংসদের বিশেষ অধিবেশন
ডেকে কোটার সংস্কার দাবি বাস্তবায়নের কথা বলছেন।