ছবি : বিজ্ঞপ্তি থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের জন্য ১৯৮৭ সালে চালু করা হয় রাজশাহী কৃষি
উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। প্রতিষ্ঠার পর
থেকেই দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে
লোকসান গুনছিল ব্যাংকটি। সম্প্রতি লাভের অংকে পৌঁছতে পেরেছে রাকাব। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২২৪
কোটি ১৫ লাখ টাকার
লোকসান কাটিয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২
কোটি ৯৮ লাখ টাকা
নিট মুনাফা অর্জন করেছে।
রাকাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার জাহিদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩৮৩টি শাখার মধ্যে মাত্র ১২টি শাখা লোকসানে রয়েছে। আমরা (রাকাব) সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গত ৩৭ বছরের লোকসান কাটিয়ে ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মুনাফা করেছি।’
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করে রাকাব। এ সময় ৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এ অর্থবছরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৮ শতাংশ। ওই বছরে ৪৪৩ কোটি টাকা আদায় হলেও নিট ক্ষতি ছিল ২২৪ কোটি টাকা। এ সময় লোকসানে থাকা শাখার সংখ্যা ছিল ৬০টি।
পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাকাবের আমানত সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকায়। এখান থেকে সেবাভোগীদের ঋণ দেয়া হয় ৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। এ সময় রাকাবের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৬ শতাংশে। সমাপ্ত অর্থবছরে খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে ৪৮৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রাকাবে ‘পার্টিসিপেটরি ম্যানেজমেন্ট’ কর্মপরিকল্পনার দ্বারা প্রধান কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের ৩৮৩টি শাখা, ১৮টি জোন ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।’
বর্তমানে রাকাবের গ্রাহকরা ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা, বিভিন্ন বিল প্রদানসহ আধুনিক সব ব্যাংকিং সেবা নির্বিঘ্নে গ্রহণ করছেন। ফলে ধারাবাহিকভাবে ব্যাংকটির ব্যবসায়িক পরিধি বাড়ছে। গত বছরও প্রায় ৫০ হাজার নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে রাকাবের সঙ্গে।
