পূর্বাচলে বেনজীর আহমেদের ডুপ্লেক্স বাড়িসহ রিসোর্ট জব্দ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I নারায়ণগঞ্জ

ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের একটি রিসোর্ট জব্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও দুদকের সমন্বয়ে গতকাল বিকালে পরিচালিত এক অভিযানে রিসোর্টটি জব্দ করার পর মূল ফটকে ‘ক্রোক বিজ্ঞপ্তি’ লেখা একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে। 

এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাতবহির্ভূত আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সাবেক এ আইজিপির সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিকুর আলম। এ সময় দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মইনুল হাসান রওশনীও উপস্থিত ছিলেন।

পরে শফিকুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকার স্পেশাল জজ আদালতের নির্দেশে সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে সম্পত্তিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’

জেলা প্রশাসন ও দুদকের সমন্বিত দলটি রিসোর্টের ভেতর ঘুরে দেখলেও সেখানে থাকা বেনজীরের ডুপ্লেক্স বাড়িটি ‘ডিজিটাল লক’ পদ্ধতিতে বন্ধ থাকায় তাতে প্রবেশ করতে পারেনি। এ তথ্য জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিকুর আলম আরো বলেন, ‘এখানে একটি দোতলা ভবন, কিছু কুকুর ও পাখি রয়েছে। ভবনটি ডিজিটাল লক সিস্টেমে বন্ধ আছে। এটি খুলতে উপযুক্ত টেকনিশিয়ান ও যন্ত্রপাতি না থাকায় আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি।’

এ সম্পত্তি কী করা হবে তা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, আপাতত এ রিসোর্ট দেখাশোনার জন্য যে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন তারা আগামীকাল (সোমবার) পর্যন্ত এখানেই থাকবেন।  

পূর্বাচলের দক্ষিণবাগ এলাকায় গুতিয়াব মৌজায় পুলিশের আনন্দ হাউজিং সোসাইটির ছয়টি প্লটের ২৪ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড। চারপাশে কাঁটাতারসহ সীমানা দেয়াল দেয়া এ রিসোর্টের ভেতরে একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। প্রশাসনের সাঁটানো ‘ক্রোক বিজ্ঞপ্তি’তে রিসোর্টটির মালিক হিসেবে বেনজীরের মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নাম উল্লেখ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণবাগ এলাকার একটি হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে জমিটি আনন্দ হাউজিং সোসাইটির নামে কেনা হয়েছিল। পরে এ জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করা হয়। প্রায় সময় এ বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধুদের নিয়ে আসতেন বেনজীর আহমেদ। তবে গত তিন মাস কেউ আসে না বলে জানান বাড়িটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা রতন মিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন