কুমিল্লায় সীমানা জটিলতায় পাকা হয়নি পাঁচ কিলোমিটার সড়ক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I কুমিল্লা

কুমিল্লার গালিমপুর ও দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ও দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপন করেছে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। সড়কটির বেশির ভাগ অংশ দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সীমানায়। কিছু অংশ রয়েছে গালিমপুর ইউনিয়নে। তবে সড়কটি এখনো পাকা হয়নি। দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ায় সীমানা জটিলতায় সড়ক যোগাযোগে উন্নয়ন হয়নি বলে দাবি করেন গ্রামবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের ঘোষ্পা গ্রাম থেকে দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের শিয়ালোড়া, জোয়াগ হয়ে উত্তর শিলমুড়ী ইউনিয়নের আলোকদিয়া, গোবিন্দপুর ও সুলতানপুরে মিলেছে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কের পুরোটায় বেহাল। বর্ষা মৌসুমে সড়ক দিয়ে যাতায়াত কষ্টদায়ক। সড়কের পাশেই ঘোষ্পা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিয়ালোড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় ৬০০-৭০০ শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে। একটু বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে তাদের পোশাক নোংরা হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি একবার দেখেছি সড়কে মাটি ফেলতে। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি।’

আসমা বেগম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। একজন রোগী কীভাবে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। সড়কটি গালিমপুর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের সংযোগস্থল। দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হওয়ায় সড়ক পাকা হচ্ছে না।’

গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান পদে রয়েছি দুই-তিন মাস হলো। আসলে আমি নিজেও জানি না ওই সড়কের কতটুকু আমার ইউনিয়নে পড়েছে। সড়কটি সমন্বয় করে সংস্কার করা হবে। এর বেশির ভাগ অংশ পড়েছে দক্ষিণ শিলমুড়ীর সীমানায়। যখন সংস্কারের সময় আসবে, পুরোটাই আমি করে দেব।’

দক্ষিণ শিলমুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সড়কটি ইউনিয়নের একেবারে ভেতরে। এজন্য বড় প্রকল্প এখানে বাস্তবায়ন করা যায় না। তিন বছর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। শিলমুড়ী থেকে যে সড়কটি গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করেছে, সেটা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক কিলোমিটার পাকা করার জন্য বরাদ্দ আসে। তবে ঠিকাদার আধা কিলোমিটার করেই চলে যায়। বড় গাড়ি ওই সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে না।’

এ ব্যাপারে এলজিইডির বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শেষ করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন