সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

ছবি: সংগৃহীত

ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী ব্যারিস্টার, ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী চিকিৎসক। ছেলে মাহী বি চৌধুরী রাজনীতিবিদ, যিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, তার প্রথম জানাজা সকাল ৮টায় উত্তরা উইমেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে, দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর বারিধারায় ৮ নম্বর সড়কে বায়তুল আতিক জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হবে মুন্সীগঞ্জে। সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাজা, বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানা বাড়িতে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি’) জন্মগ্রহণ করেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

ঢাকায় মেডিসিন বিভাগের খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তিনি। 

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রথম মহাসচিব হন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

জিয়াউর রহমানের সরকারে তিনি উপ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকারে শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

পরে বি চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে ২০০৪ সালের ৮ মে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আমৃত্যু দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন