ফায়ারফক্সের জন্য দরকারি ৭টি এক্সটেনশন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: মেক ইউজ অব

ওয়েব বা ইন্টারনেট ব্রাউজার হিসেবে মজিলা ফায়ারফক্স আলাদাভাবে পরিচিত। গুগল ক্রোম ও ক্রোমিয়াম ইঞ্জিন আসার আগে ফায়ারফক্সই ব্রাউজারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এছাড়া এক্সটেনশন ব্যবহারের সুবিধা থাকায় ব্রাউজারটি ব্যবহারকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।

যেকোনো প্লাটফর্মে ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও ফায়ারফক্সে কোন এক্সটেনশনগুলো ব্যবহার করা জরুরি বা কার্যকর সে সম্পর্কিত পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। গিজচায়না প্রকাশিত প্রতিবেদনে কার্যকর সাতটি এক্সটেনশনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসব এক্সটেনশন দৈনন্দিন কাজে ব্রাউজার ব্যবহারকে আরো আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ করে তুলবে বলে অভিমত প্রযুক্তিবিদদের।

ইউব্লক অরিজিন: অ্যাড ব্লকার হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ইউব্লক অরিজিন। বর্তমানে এর ৭০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে, ট্র্যাকার, কয়েন-মাইনারস, পপ-আপসসহ বিভিন্ন বিষয় ব্লক করে থাকে। ব্যবহারকারী নিজের পছন্দ অনুযায়ী আরো কিছু যুক্ত করতে পারবে। অনলাইনে ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

প্রাইভেসি ব্যাজার: গোপন ট্র্যাকার ব্লক করার দিক থেকে প্রাইভেসি ব্যাজার পরিচিত। ইউব্লকের মতোই এটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা দেয়। তবে এটি ব্রাউজিংয়ের সময় ট্র্যাকারদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে ব্যবহারকারীদের জানার সুবিধা দিয়ে থাকে। ফায়ারফক্সের বিল্ট ইন নিরাপত্তা ফিচার ও ইউব্লক ব্যবহার করার সময় প্রাইভেসি ব্যাজার ব্রাউজিংকে আরো নিরাপদ রাখে।

বিটওয়ার্ডেন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার: ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে মজিলার জন্য বিটওয়ার্ডেন বেশ কার্যকর। এতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড ভল্ট, ডেস্কটপ, মোবাইল ও ওয়েব প্লাটফর্মে ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ফায়ারফক্সের এক্সটেনশনটি পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের পাশাপাশি অটো লগইনেও সহায়তা করে এবং একাধিক ডিভাইসে সিংক করা যায়।

সাইডবেরি: ব্রাউজারের ট্যাব ম্যানেজমেন্টের দিক থেকে ফায়ারফক্সের বিল্টইন সিস্টেমই কার্যকর। তবে আরো ভালোভাবে ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে সাইডবেরি সহায়ক। এটি ব্রাউজারের পাশে আলাদা সাইডবার যুক্ত করে এবং সেখান থেকে ব্রাউজ করা ট্যাব বা সেভ করা অপশন দেখা যায়। এছাড়া ট্যাবের রঙ ও ডিজাইনও পরিবর্তন করা যায়।

ক্লিয়ারইউআরএল: বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েব লিংক ইউআরএলে (ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর) অতিরিক্ত টেক্সট বা লেখা থাকে। ফলে লিংক কপি করার পর এসব টেক্সট জায়গা দখলের পাশাপাশি শেয়ারের সময় অস্বস্তি তৈরি করে। এসব টেক্সট মুছে ফেলার জন্য ক্লিয়ারইউআরএল এক্সটেনশন ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক। এছাড়া লিংকে থাকা ট্র্যাকারও অপসারণ করে।

ডার্ক রিডার: যেকোনো ওয়েবসাইটে ডার্ক মোড চালুর জন্য এক্সটেনশনটি বেশ পরিচিত। এটি ওয়েবসাইটে থাকা টেক্সট ও ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ কালোতে পরিবর্তন করে দেয়, যা চোখের জন্য ভালো। ইনস্টল করার পর থেকে এক্সটেনশনটি অধিকাংশ ওয়েবসাইটেই কাজ করে। চাইলে ব্যবহারকারী এখানেও ব্রাইটনেস ও রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্ক্রল অ্যানিহোয়্যার: স্মাটফোনের মতো কম্পিউটার থেকে ওয়েবসাইটের যেকোনো জায়গায় মাউস রেখে স্ক্রলিংয়ের সুবিধা দেয় এ এক্সটেনশন। ফলে বড় কোনো ডকুমেন্ট ফাইল বা ওয়েবপেজ স্ক্রলিংয়ের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারকারীদের আলাদা সুবিধা দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন