সেমিনারে বক্তারা

জলবায়ু তহবিলের অর্থপ্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থপ্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) সকালে ‘বাংলাদেশ রেজিলেন্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং: চ্যালেঞ্জ, অপরচুনিটি অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) অডিটরিয়ামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈশ্বিক বাংলাদেশ জলবায়ু সংসদের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির জন্য মূলত এর ভৌগলিক অবস্থান দায়ী, যা এটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রেখেছে। ঘনবসতি, জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীলতা এবং অভিযোজন ক্ষমতার অভাব দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তুলেছে। তবে বাংলাদেশ তার অভিযোজন ক্ষমতা জোরদার করার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করছে। দেশটি তার জাতীয় আইনি নীতি কাঠামোতে জলবায়ু পরিবর্তনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের সুরক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বক্তারা মতামত দেন, এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশকে অর্থ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে এবং অনুদানভিত্তিক বা রেয়াতযোগ্য জলবায়ু সহায়তা প্রাপ্তির চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান উন্নয়ন ঋণ পুনর্গঠন করতে হবে।

সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থিংক ট্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন