এসপিপি পাইলটিংয়ের পরিকল্পনা করছে বিপিপিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ১২ এবং লক্ষ্যমাত্রা ১২.৭ অর্জনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর থেকে দেশে টেকসই সরকারি ক্রয় (এসপিপি) পাইলটিং করার পরিকল্পনা করছে। 

বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরি ঢাকার এক হোটেলে টেকসই সরকারি ক্রয় বিষয়ে মাস্টার প্রশিক্ষকদের জন্য তিন দিনের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনের সময় একথা জানান। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বিপিপিএ আয়োজিত এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) ২৭ জুন ২০২৪ এ শুরু হয়ে ২৯ জুন ২০২৪ এ শেষ হয়েছে। 

বিপিপিএর কর্মকর্তা, জাতীয় প্রকিউরমেন্ট প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন  ক্রয়কারী সংস্থার মোট ৩৮ জন  প্রতিনিধি প্রশিক্ষণে অংশ নেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট নাগরাজু দুথালুরি এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অপারেশনস ম্যানেজার মিস গেইল মার্টিন। 

এসপিপি প্রক্রিয়ায় পরিবেশ, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উপাদানগুলো যেকোনো পণ্য, কার্য ও সেবার পূর্ণ জীবনচক্রের মূল্য বিবেচনায় নেয়া হয় যাতে অর্থের সর্বোত্তম মূল্য মান অর্জন করা যায়। বিশ্বব্যাংক জলবায়ু সহায়তা সুবিধাবাংলাদেশ অনুদানের অধীনে আন্তর্জাতিক পরামর্শক জেলি মোলিনোকে সবুজ প্রকিউরমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য নিযুক্ত করেছে। জেলি বিপিপিএর সঙ্গে পরামর্শ করে জিপিপি/এসপিপি মাস্টার প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছেন। তিনি এসপিপি মাস্টার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। 

প্রথাগত সরকারি ক্রয়ের পরিবর্তে এসপিপি/জিপিপি ব্যবহার করে দেশগুলো এসডিজি অর্জন করতে, পরিবেশগত কার্যক্ষমতা উন্নত করতে এবং টেকসই পণ্য ও সেবার বাজার তৈরি করতে এবং উদ্ভাবনকে চালিত করতে সহায়তা করবে। এটি সামাজিক সমতা এবং লিঙ্গ সমতার প্রতিও অবদান রাখবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ডিম্যাপ প্রকল্পের আওতায় বিপিপিএ ২০২৩ সালে এসপিপি নীতি প্রণয়ন করে। সরকার এসপিপি নীতি অনুমোদনের পর ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে গেজেট প্রকাশ করেছে। এসপিপি নির্দেশিকাও প্রণয়ন করেছে বিপিপিএ যা এখন সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এসপিপি পাইলটিংয়ের জন্য ছয়টি পণ্য নির্বাচন করা হয়েছে। এগুলো হলো কাগজ ও কাগজজাত পণ্য, অফিস সরবরাহ, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও সরবরাহ, অফিস ও অন্যান্য আসবাবপত্র বা সংশ্লিষ্ট কাঠের সরঞ্জাম, যানবাহন ও অন্যান্য পরিবহন সরঞ্জাম এবং দাপ্তরিক কাগজ দিয়ে তৈরি প্রকাশনা। 

তবে পরিবেশের ওপর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে, ভবন ও সড়ক নির্মাণ, পানি ও জ্বালানির মতো চারটি অন্যান্য খাত এসপিপি পাইলটিংয়ের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। বিপিপিএ সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারী সংস্থাগুলো থেকে এই জন্য ফোকাল ব্যক্তিদের নির্বাচন করেছে। 

বিপিপিএর সিইও বলেন, এসপিপি বাস্তবায়নের জন্য সক্ষমতা উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রথম গ্রুপে ৩৮ জন মাস্টার প্রশিক্ষককে এসপিপিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দেশে আরো প্রশিক্ষক তৈরির জন্য এমন আরো প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১২ টেকসই ভোগ ও উৎপাদন প্যাটার্ন নিশ্চিত করার কথা বলে এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ১২.৭ জাতীয় নীতিমালা ও  অগ্রাধিকার অনুযায়ী টেকসই সরকারি ক্রয় পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন