এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

ফল ও শাক-সবজির রফতানি বাড়াতে এয়ার কার্গো সহজলভ্যের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : এফবিসিসিআই

ফল ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রফতানি সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান রফতানিকারকরা। পাশাপাশি রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের ভাড়া বা ফ্রেইট কস্ট যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনে ডেডিকেটেড কার্গো ব্যবস্থা চালুর পক্ষেও মত দিয়েছেন তারা।

এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে গতকাল ‘ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল’ শীর্ষক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট, বাড়তি বিমান ভাড়া, কাস্টমস এবং এইচএস কোডসংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রফতানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।’

পণ্য আমদানি-রফতানিসংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআই এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি। এ সময় ফল ও শাক-সবজি আমদানি-রফতানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যদের কাছে মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।

জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ‘ফল, শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য রফতানিতে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। সুতরাং এসব পণ্যের রফতানি বিঘ্নিত করা যাবে না। রফতানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কার্গো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।’ পাশাপাশি উপযুক্ত পলিসি এবং নির্ভুল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাক-সবজি রফতানির জটিলতা দূর করতে বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ জানান কমিটির সদস্যরা। এছাড়া কৃষকের হাতের নাগালে আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত এবং গুণগত মান উন্নয়ন, চাষ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট) উন্নত করা, প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়ে কৃষক, রফতানিকারকসহ অন্য অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, মো. আবুল হাশেম, বাংলাদেশ বিমানের কার্গো এক্সপোর্ট বিভাগের ডিজিএম তফাজ্জল হোসেন আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন