পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ১১ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি টিম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার আগেই পাসপোর্ট অফিসের আট কর্মকর্তা
দুদকে হাজির হন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাইদুর রহমান
ছাড়াও মুনসী মুয়ীদ ইকরাম, আবু নাঈম মাসুম, সুভাস চন্দ্র রায়, আজিজুল হক, মহসিন ইসলাম
ও মোতালেব হোসেন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা
অফিসে পরিচালক হিসেবে ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর যোগ দেন। তার নামে দুদকে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত
সম্পদ অর্জনের মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২১ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১)
উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে
প্রথমে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে উপপরিচালক মশিউর রহমানকে নিয়োগ
করা হয়। যার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলতে রাজি
হননি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। অফিস
থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাদের কাছে জানতে চান, বেনজীরের বিষয়ে দুদক কোনো
কথা বলছে না কেন। তাকে কোনোভাবে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে কিনা। এসবের কোনো জবাব তারা
না দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।
সাবেক এ আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন তার পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সে সময় তিনি র্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। তবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধা।