আলোচনায় ছিল ঈদের যে নাটকগুলো

আসরার আবেদিন

‘তিথিডোর’ নাটকে মেহজাবীন ছবি: নাটক থেকে

প্রতি বছরই ঈদ বিনোদনের বড় অংশজুড়ে থাকে টেলিভিশন নাটক। দেশে এখন অসংখ্য টেলিভিশন চ্যানেল এবং প্রতিটি চ্যানেলই ঈদে হাজির হয় নাটক নিয়ে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নাটকের ধারায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। সেই সঙ্গে নাটকের জনপ্রিয়তায়ও এসেছে পরিবর্তন। কেননা এখন টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি নাটক প্রচার হয় ইউটিউব চ্যানেলে। সেই সঙ্গে ওটিটিতেও দর্শকের আগ্রহ অনেক বেশি। তবু তার মধ্যেও কিছু নাটক নিয়ে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। এর মধ্যে আছে ভিকি জাহেদ পরিচালিত ‘তিথিডোর’, জাকারিয়া শৌখিন পরিচালিত ‘লাভ রেইন’, প্রীতি দত্ত পরিচালিত ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’, আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’, সোহাগ রানা পরিচালিত ‘চাঁদের হাট’ ইত্যাদি।

এসব নাটকের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিথিডোর ও এভাবেও ফিরে আসা যায় এ দুই নাটকের বেশ প্রশংসা হচ্ছে। 

তিথিডোর পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ। দর্শকের অন্যতম পছন্দের নির্মাতা। নাটকের পাশাপাশি তিনি সিরিজ নির্মাণ করে দর্শকের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন। তবে তিথিডোরে নিজের সিগনেচার স্টাইল থেকে অনেকটা সরে এসেছেন ভিকি। তিনি নির্মাণ করেছেন জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের নাটক। ৩০ ছোঁয়া নিশাকে নিয়ে এ গল্প। নিশা একাকী। একটি সম্পর্কচ্ছেদের পর তার জীবন কেমন কাটে তা নিয়েই গল্প। খুবই সাবলীল অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সেই সঙ্গে ভিকির গল্প বলা ও নির্মাণও ছিল দারুণ। নাটকটিতে বর্তমান সময়ের বহু নারীই নিজেকে খুঁজে পাবেন বলে মনে করে দর্শক। এছাড়া ভিকি জাহেদ ভিন্ন ধারার গল্প বলছেন বলেও দর্শকের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

ভালো গল্পের বা গল্পপ্রধান নাটকের কদর যে এখনো আছে তার প্রমাণ রেখেছে তিথিডোর ও এভাবেও ফিরে আসা যায়। দ্বিতীয় নাটকটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। সেই সঙ্গে নাটকে দেখা গেছে আরো কয়েকজন অভিনয়শিল্পীকে। ছিলেন জিয়াউল হক পলাশ, পারসা ইভানা ও আহমেদ হাসান সানি। তারা অভিনয় করেছেন ছিনতাইকারী, দেহপসারিণী ও গায়ক চরিত্রে। পার্কে আত্মহত্যা করতে আসা এক বৃদ্ধের সঙ্গে তাদের গল্প জুড়ে যায়। এরপর গল্প এগোতে থাকে।

নাটকটিতে খুব সুন্দর কিছু সংলাপ আছে। রচনা করেছেন রাইটার কাজী হাসিবুল আলম। এর মধ্যে আরো উঠে এসেছে জীবনানন্দ দাশ. শার্ল বোদলেয়ারের কবিতা। সব মিলিয়ে আশিকুর রহমানের নাটকটি দর্শককে ভাবায়। একটা সময় দেশে কমেডির বাইরে যে গল্পভিত্তিক নাটক হতো, দর্শককে কানেক্ট করতে পারত সে ধারার নাটক এভাবেও ফিরে আসা যায়। 

তাই বলে কমেডি যে নেই এমন নয়। এ ঈদেও বেশকিছু কমেডি নাটক এসেছে। মোশাররফ করিম নিয়মিত ধারায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে একটি নাটক অবতার। আরো ছিল ‘জায়গায় ব্রেক’, ‘রঙ্গিলা মজিদ’, ‘টাকার সংসার’, ‘মিস্টার মোতালেব’, ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’। এসব নাটক নিয়েও আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ফিমেল সিরিজ’-এর ‘ফিমেল ফোর’ এবারো দর্শক দেখেছেন হুমড়ি খেয়ে।

সেই সঙ্গে আছে প্রেমের গল্পের নাটকও। যে পাখি ঘর বোঝে না, লাভ রেইন সে ধারার নাটক। এর মধ্যে লাভ রেইন নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তৌসিফ মাহবুব ও নাজনীন নীহা অভিনীত নাটকটি পরিচালনা করেছেন জাকারিয়া শৌখিন। তার নাটক নিয়ে বরাবরই দর্শকের আগ্রহ থাকে। এদিকে তৌসিফ ও কেয়া পায়েল অভিনীত ‘চাঁদের হাট’ ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ছিল শুরু থেকেই। এখন পর্যন্ত ৭২ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে নাটকটি।

এ নাটকগুলোর বাইরেও প্রতিটি চ্যানেল ও ইউটিউবের নানা চ্যানেলে এসেছে অনেক নাটক। এছাড়া প্রতিটি চ্যানেল রেখেছিল ধারাবাহিক নাটক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন