রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপ দরকার—ড. এ কে আব্দুল মোমেন

ছবি : সংগৃহীত

আমার প্রত্যাশা হলো, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছবে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা আমাদের উন্নতি টেকসই করে রাখতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু এখনই কোনো চূড়ান্ত ফল আসবে না। আমরা প্রত্যাশা করি ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারের ইস্যুতে আমরা একমত হব। অর্থনৈতিক 

ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা উভয়টিতেই গুরুত্ব দেয়া হবে। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি। এখানে তিস্তা ও বর্ডার কিলিং নিয়েও আলাপ হতে পারে। ২০২৬ সালে পানি চুক্তি নবায়ন করতে হবে। সেটি হয়তো আলোচনায় আসবে।

ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসিতে’ বাংলাদেশই ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিবেশী। এ দুই নির্ভরযোগ্য বন্ধু এখন নীতিটিকে আরো জোরালো করবে। এছাড়া পাট রফতানির ওপর বাধা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এগুলো মুখ্য হবে না। অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে তারা যে অর্থায়ন করছে, তা খুব দুর্বল। এখানে রোহিঙ্গা ইস্যুও আলোচনায় আসবে যেখানে ভারত পাশে আছে বললেই আমরা থামব না। এক্ষেত্রে আমরা বলব যাতে তারা সক্রিয়ভাবে  রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

ভারত কোয়াডে যুক্ত হয়েছে, আমরা হইনি। আমরা বলেছি যেগুলো অর্থনৈতিক ইস্যু হবে সেগুলোয় থাকব। তবে কোনো সামরিক জোটে আমরা নেই। ভারত হয়তো এখানে আমাদের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে কথা বলবে। তবে আমরা আশা করি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ অবস্থান নেবেন। 

ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন