কোনো ব্রেক থ্রুর ইঙ্গিত নেই—অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার

ছবি : সংগৃহীত

এ সফরের মধ্য দিয়ে কোনো ব্রেক থ্রু হবে বলে ইঙ্গিত নেই। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সফরকে শুধু ভারত সফর দিয়ে দেখার কিছু নেই। এরপর চীন সফর রয়েছে। দেড় দশক ধরে বাংলাদেশ যে ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি অবলম্বন করছে, এ সফর তারই ধারাবাহিকতা এবং বাংলাদেশ যে বড় হয়ে উঠছে, এটি তারই প্রমাণ। 

বাংলাদেশ এখন বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে। এ অবস্থায় উগ্র জাতীয়তাবাদী, হঠকারী বিদেশ নীতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ভারত আমাদের মিত্র। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে গত এক দশকে আমাদের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে কোনো দেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার পরিবর্তে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে।

কোনো দেশেরই পররাষ্ট্রনীতি কখনো এক স্তরবিশিষ্ট হয় না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দুদিকেরই অনেক অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে। তবে সিদ্ধান্তটা হতে হবে এ রকম—আমরা কি এগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই, নাকি কথা না বলে পরস্পর গাল ফুলিয়ে বসে থাকতে চাই।

আরেকটা জিনিস খেয়াল করা দরকার যে আওয়ামী লীগ ও বিজেপি দুই ঘরানার রাজনৈতিক দল। এর পরও যে সম্পর্কটা তৈরি হচ্ছে, এটা দুপক্ষের জন্যই মঙ্গলকর। ভারত-চীনের দ্বিমুখী সম্পর্কের মাঝেও যে বাংলাদেশ একটা রাস্তা করে নিয়ে এগোচ্ছে, এ লক্ষ্যেই আমি বর্তমান ভারত সফরকে দেখছি।

চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসার পর ‘‌ভারত নাকি চীন’ এ রকম একটা আলোচনা উঠেছিল। সেখানেও বাংলাদেশ যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এ সরকারের উন্নতির অনেক দিক থাকলেও বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে তারা ভালো করছে বলেই আমার মনে হচ্ছে।

শান্তনু মজুমদার, অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন