কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো।
রাজধানীতে অনেক পরিবার গরুর পাশাপাশি কিংবা আলাদাভাবে খাসি কোরবানি দেন। তবে বেশির
ভাগের পছন্দ ছোট কিংবা মাঝারি সাইজের খাসি।
বিক্রেতারা বলছেন, এবার দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় হাটে ছোট খাসির চাহিদা
বেশি। তারা বলছেন, ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই ছোট সাইজের খাসি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
এছাড়া মাঝারি সাইজের একটি খাসির দাম পড়ছে ২০-২৫ হাজারের মধ্যে। এছাড়া বড় খাসির দাম
৩০ থেকে ৪০ হাজার।
রোববার (১৬ জুন) বিকালে রাজধানীর লালবাগ ও ধূপখোলা ও ধোলাইখাল হাট
ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধোলাইখাল ও লালবাগ হাটে ছাগলের অধিকাংশ বিক্রেতাই
পাইকার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাগল সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন তারা। এর পাশাপাশি
ভেড়া, গাড়ল, রামছাগলও তোলা হয়েছে বিক্রির জন্য।
ধূপখোলা হাটের বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার
দাম অনেক কম। ছাগল বিক্রি করতে না পারলে রেখে দেব। পরে এগুলো জবাই করে কেজি হিসেবে
বিক্রি করব।
রাসেল হোসেন নামের আরেক পাইকার বলেন, ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে
৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খাসি বিক্রি হচ্ছে। এবার এখানে প্রচুর ছাগল উঠেছে। এর পাশাপাশি
ভেড়া ও গাড়ল আছে। ওগুলোর দামও ১৮-২৫ বা ২৫-৩০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, মানুষ খাসি একাই কোরবানি দেয়। সে জন্য ছোট সাইজের খাসির
চাহিদা বেশি।
অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, খাসির দাম কম হওয়াতে কেনাকাটায় অনেকটা স্বস্তি
পেয়েছেন তারা।
জামাল হোসেন নামের এক ক্রেতা লালবাগ থেকে ২০ হাজার টাকায় একটি খাসি
কিনেছেন। তিনি বলেন, এখন শেষ সময়ে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই করার সুযোগ নেই। রাত পোহালেই
কোরবানির ঈদ। এখন সাধ্যের মধ্যে পছন্দ করে খাসি নিয়ে নিলাম।
রাকি খান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজার ঘুরে মনে হচ্ছে, গতবারের
তুলনায় এবার দাম অনেকটা হাতের নাগালে। আমার বাজেট ১৫-১৮ হাজার টাকা। এ দামের মধ্যে
পছন্দ হলেই কিনে নেব। আমাদের পরিবারের জন্য একটা খাসিই যথেষ্ট।