সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার কাছে মিনায় ‘শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের’ মধ্য দিয়ে আজ শেষ হলো হজের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা। এরপর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন হাজিরা। এদিকে সারা বিশ্বের মুসলমানরাই ঈদুল আজহার ছুটি উদযাপন করছেন।
এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে হজ পালন করতে গেছেন ১৮ লাখ মুসলমান। মক্কার স্থানীয় সময় আজ ভোর থেকেই মক্কা আল-মুকাররামার বাইরে অবস্থিত মিনা উপত্যকায় শয়তানের প্রতীকী তিনটি কংক্রিটের দেয়ালের প্রতিটিতে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন হাজিরা। ইসলামের ধর্মীয় এ রীতি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর তিনটি স্থানে শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
হাদিসে এসেছে, শয়তান ওই তিনটি স্থানে হজরত ইব্রাহিমকে (আ.) পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি দেয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিল। পরে ইব্রাহিম (আ.) পাথর ছুড়ে শয়তানকে বিতাড়িত করে।
হজের সময় পাথর মারার এ রীতি পালন করতে গিয়ে এর আগে মিনায় একাধিকবার পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে। ওই বছরের হজে পদদলনে প্রাণ হারান ২ হাজার ৩০০ হাজি। এর পর থেকে হজের সময় মিনায় হাজিদের অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে স্থানটি নতুন করে ঢেলে সাজায় সৌদি সরকার।
‘শয়তানকে নিক্ষেপের’ উদ্দেশে শনিবার রাতেই হাজিরা পাথর সংগ্রহ করেন। সেই সঙ্গে মিনা ও আরাফাতের মাঝামাঝি অবস্থিত মুজদালিফাহ সমভূমিতে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করেন তারা।
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ বাসে, কেউ হেঁটে মিনায় নিজ তাঁবুতে ফেরেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া) গোসল করেন। এরপর কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করেন। এটি হজের আরেকটি ফরজ। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়ানো) করেন।