দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মো. আব্দুর রহমান।
রোববার (৯ জুন) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)
কর্তৃক আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বলেন, এবার দেশী পশু দিয়েই কোরবানি হবে। এ সময় প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, লক্ষ্যমাত্রা
থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ
বলে বিবেচিত হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, রাতের অন্ধকারে
কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের
চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে
পশু আমদানির অনুমতি বা বৈধতা দেয়নি। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা
অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লাখ, যেখানে কোরবানির
জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।
এর আগে আজ সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ
সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে
স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবার জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার
সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে বলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জানান।
কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ
গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের
প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি
পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত তা
গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য তিনি কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া
গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান
জানান তিনি।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর
হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।