খবর

চট্টগ্রাম বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল থাকায় আজ সোমবার (২৭ মে) জেটিতে কোনো জাহাজ ভেড়ানো যায়নি। ফলে জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজও কার্যত বন্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে এর আগে রোববার বন্দরের জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হলে বন্দর জেটি ফাঁকা হয়ে যায়। বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো ও বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসের মতো সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বড় জাহাজ জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের কারণে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সাগরে জাহাজগুলো ইঞ্জিন চালু রেখে ঢেউ বা ঝড়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ভাসতে পারে। এ জন্য সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বড় জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, বন্দর চত্বর থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু করা গেলেও বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সকালের জোয়ারে সাগর থেকে আজ জেটিতে আনা যায়নি । সকাল ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেয়া ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এ ঘোষণার পর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।