ভোলায় রেমালের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৩

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ভোলা

ছবি: বণিক বার্তা

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে ছোট-বড় প্রায় কয়েক হাজার গাছপালা। ঘর চাপায় ও গাছের আঘাতে শিশু, নারী, পুরুষসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২০ জন।

এছাড়া নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এছাড়া মনপুরা, লালমোহন ও দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।  বহু মানুষের পুকুর ও মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ তলিয়ে গেছে বহু স্থাপনা।

ঘর চাপায় ও গাছের চাপায় লালমোহন, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় শিশু, নারী, পুরুষসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। 

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দুইশতাধিক কাঁচা ঘর বাড়িবিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন পানিবন্দি অবস্থায়। গবাদিপশু ও পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। পানের বরজ ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি  হয়েছে। 

এছাড়া রোববার সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো জেলার মানুষ। ভোলার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার হোসেন বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের সংযোগ লাইনে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের মধ্যেও ওই সকল লাইনগুলো সংস্কারে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মাঠে কাজ করে চাচ্ছেন। আমরা আশা করছি সন্ধ্যার পরপরই পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু জায়গার বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে পারবো।

ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব টানা দুই দিন ধরে চলছে। বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের জানমালসহ  ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন