রেমালের প্রভাবে চাঁদপুরে ঝড়-বৃষ্টি : সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : বাসস

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোরবেলা থেকে দমকা হাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে, চাঁদপুর-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খবর বাসস।

গত শনিবার রাত ১২টার পর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে বলে জানান চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন।

তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে লঞ্চ এবং নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আমরা পাইনি।

এদিকে সকাল ৮টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে দেখা গেছে কোনো ধরনের নৌযানের অবস্থান নেই। তবে লাইটার জাহাজগুলো নদী তীরবর্তী এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে পানি এবং বাতাসের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকে রোববার (২৬ মে) রাত পর্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় এলাকা ও লঞ্চঘাটে পূর্ব সর্তকতা হিসেবে মাইকিং এবং আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, জেলে, স্থানীয় বাসিন্দা ও চরাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী এবং মালবাহী ট্রলারগুলো চলাচল বন্ধ করায় এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারারাত বাতাস বইছিল এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছিল, তবে ভোরবেলা থেকে দমকা হাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেলে আমরা তা জানাব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন