রংপুর
বিভাগের হিমাগার মালিকদের একতরফা ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে আলুচাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন
করা হয়।
পরে বেলা ১টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান অনশনরত আলুচাষীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। সে সঙ্গে বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।
রংপুর জেলা আলুচাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই হিমাগারগুলোয় ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বস্তাপ্রতি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত, যা আলু ব্যবসায়ী ও চাষীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এ সময় তিনি হিমাগারে চাষীদের বস্তাপ্রতি ভাড়া কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রংপুর জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে। এ কারণে ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। ভাড়া নিয়ে চাষী ও ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক আন্দোলনে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
আলুচাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে জেলার ৪০টি হিমাগারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। যেখানে দেশের অন্যান্য জেলায় হিমাগারে ৬০ কেজি ওজনের আলুর বস্তাপ্রতি ভাড়া ১৮০-২২০ টাকা। সেখানে রংপুর অঞ্চলে নেয়া হচ্ছে ৩৮০-৩৮৫ টাকা করে।’ অতিরিক্ত ভাড়া কমানো না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।