পাঁচ জেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : বণিক বার্তা (ফাইল ছবি)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের সব বিভাগে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কাও করছে সংস্থাটি।

আজ রোববার (২৬ মে)  ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

এরই মধ্যে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পাহাড়ধসের বিষয়ে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ভূমিধসের আশঙ্কার কথা আমরা জেনেছি। এরই মধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাও হয়েছে। মাইকিং শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে মূল কেন্দ্র আঘাত হানবে। তবে এরপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে যাবে তেমনটি নয়। কেন্দ্র অতিক্রম করা শেষ হওয়ার পর এর শেষ অংশও উপকূলসহ তীরবর্তী অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন