ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে বঙ্গবন্ধু টানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত টানেল বন্ধ রাখতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিকাল সাড়ে ৫টায় টানেলের উভয়প্রান্তের ৪টি ফ্লাড গেইট বন্ধ করবে টানেল কর্তৃপক্ষ। 

টানেল উদ্বোধনের পর ২০২৩ সালের ১৩ মে প্রথমবারের মতো টানেলটি ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নিরাপত্তামূলক সতর্কতা হিসাবে সাময়িক বন্ধ রেখেছিল সেতু কর্তৃপক্ষ। এবছর দ্বিতীয় বারের মতো দেশের একমাত্র টানেলটি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সাগরে পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ মিটার পর্যন্ত টানেলে পানি প্রবেশ করবে না। স্বাভাবিক জোয়ারে ২ দশমিক ৪ মিটার পর্যন্ত সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পানির উচ্চতা থাকলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৪ মিটার। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা সাড়ে ৭ মিটারের বেশি হলে ফ্লাড গেইটের কারণে টানেলের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্বাহী প্রকৌশলী (টোল, ট্রাফিক ও ইএমই) মো. নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানেল, যানবাহন ও মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যানবাহন চলাচল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার সকালের দিকে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্র বাড়তে থাকায় টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে এসেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আগামীকাল ভোর ৬টার পর বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হবে। 

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, টানেলের উভয়প্রান্তের ৪টি ফ্লাড গেইট বন্ধ করতে ১৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ সময় লাগে। প্রতিটি গেইট হুইল ঘুরিয়ে ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে অন্তত ৩ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উভয়প্রান্তের ফ্লাড গেইট বন্ধ করার পর টানেলের উভয় পাশে ভ্যারিয়েশন মেসেজ সাইনে দুর্যোগকালীন সময়ে টানেল ব্যবহার, টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা প্রর্দশন করা হবে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানেলের সুরক্ষায় প্রস্তুতিমূলক অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সার্ভিলেন্স টিম প্রস্তুত রাখা। মূলত টানেল বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি অনেক বেশি। এ কারণে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে টানেলের সুরক্ষায় বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন