টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৪ শুভেচ্ছাদূত

বোল্ট, গেইল ও যুবরাজের সঙ্গে যুক্ত হলেন আফ্রিদি

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের সঙ্গে স্প্রিন্টের কিংবদন্তি উসাইন বোল্টকে শুভেচ্ছাদূত করা হয়। পরে ২০০৭ বিশ্বকাপে ছয় ছক্কার নায়ক ভারতের যুবরাজ সিংকে তৃতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন পাকিস্তান গ্রেট শহিদ আফ্রিদি। শুক্রবার তাকে শুভেচ্ছাদূত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের সেরা ক্রিকেটার প্রতিযোগিতাটিতে পাকিস্তানের একমাত্র শিরোপা জয়ের নায়ক আফ্রিদি বৈশ্বিক আসরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশেষ সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে অল্পের জন্য শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। তবে আসরজুড়ে ব্যক্তিগত উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জিতে নেন আফ্রিদি। লেগ স্পিনে সাত ম্যাচে ১২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৯১ রান করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডে পরের আসরেই শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের ফাইনালে শ্রীলংকাকে উইকেটে হারানোর পথেও বড় অবদান রাখেন আফ্রিদি। বল হাতে এক উইকেট নেয়ার পর রান তাড়ায় ৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।

সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও উজ্জ্বল ছিলেন আফ্রিদি। ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পর বোলিংয়ে ১৬ রান দিয়ে নেন উইকেট। দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেছেন আফ্রিদি।

আসন্ন বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়ে সেই সুখকর মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি প্রতিযোগিতা, যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা পর্যন্ত, আমার ক্যারিয়ারের প্রিয় কিছু ঝলক মঞ্চে খেলার মাধ্যমে এসেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিধি শক্তি বেড়েছে। এবারের আসরের অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত, যেখানে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি দল, আরো বেশি ম্যাচ এবং আরো নাটকীয় লড়াই দেখতে পাব।

আগামী জুন শুরু হবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ২০ দল অংশ নিচ্ছে ২০ ওভারের ফরম্যাটের বিশ্বকাপে। প্রতিযোগিতাটির অংশ হতে পেরে ভীষণ খুশি আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী হতে আমি মুখিয়ে আছি। এটি খেলাধুলার বড় দ্বৈরথগুলোর একটি। দুর্দান্ত দুটি দলের অসাধারণ লড়াইয়ের জন্য নিউইয়র্ক উপযুক্ত মঞ্চ হবে।

শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আফ্রিদির সংযুক্তি নিয়ে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং বলেন, ‘শহিদ (আফ্রিদি) ছেলেদের ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে, যার মধ্যে দুটিতে সে ছিল অধিনায়ক। ২০০৯ সালে শিরোপা জয়ের পথে সে টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছে।

কাজেই আমাদের তারকাখচিত শুভেচ্ছাদূতদের দলে সে যুক্ত হওয়ার দাবিদার। যুবরাজ সিং, ক্রিস গেইল উসাইন বোল্টের মতো সে- বিশ্বব্যাপী খুব জনপ্রিয় মুখ। সর্ববৃহৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে সে আরো বেশি সমর্থকদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হবে বলে আমরা মনে করি।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী জুন শুরু হবে পাকিস্তানের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান। জুন গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচেই শুভেচ্ছাদূত হিসেবে থাকছেন দুই দেশের দুই সুপারস্টার যুবরাজ সিং শহিদ আফ্রিদি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন