![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_384859_1.jpg?t=1718910070)
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী
জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। মাসব্যাপী এ প্রচার অভিযানে ডিএনসিসির
৫৪টি ওয়ার্ডেই কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক র্যালি ও সভা আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুর রূপনগর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে
একযোগে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের উদ্বোধন করেন
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মাসব্যাপী চলমান সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের পাশাপাশি মশক নিধন
অভিযান পরিচালনা করা হয়। মশক নিধন অভিযানে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮টি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়
এবং এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬টি মামলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদিতে পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে
পারে সেসব দ্রব্যাদি সিটি করপোরেশন কিনে নিচ্ছে। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের
প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ, পুরনো টায়ার, কমোড, রঙের কৌটা এগুলো জনগণ ডিএনসিসির
কাউন্সিলরদের কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করছে।
উল্লেখ্য, পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি ও সেগুলো সংগ্রহের জন্য মূল্য তালিকা:
চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (প্রতি পিস) ১ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবল গ্লাস/কাপ
(প্রতি পিস) ১ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতি পিস) ২ টাকা, কন্ডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতি
পিস) ২ টাকা, মাটি/প্লাস্টিক/সিরামিক/মেলামাইন (প্রতি পিস) ৩ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত
প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতি পিস) ৫০ টাকা,
পরিত্যক্ত পলিথিন (প্রতি কেজি) ১০ টাকা, পরিত্যক্ত স্যানিটারি ওয়্যার কমোড, বেসিন ইত্যাদি
(প্রতি পিস) ১০০ টাকা।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল
কায়েস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির মাসব্যাপী চলমান সচেতনতামূলক প্রচার
ও মশক নিধন অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল জনগণকে সম্পৃক্ত করা। আমরা
কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে ফিডব্যাক পেয়েছি জনগণ এ কার্যক্রমে
সম্পৃক্ত হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক
ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক
র্যালি আয়োজন করা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশক্রমে দৈনন্দিন মশক নিধন কার্যক্রমের
পাশাপাশি এ প্রচার কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের
পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি।৷
জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের
ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা,
মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। বর্ষা
শুরুর আগেই আমরা এ বছর ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছি।