পূর্ব রাফার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ছবি : আনাদোলু

গাজা উপত্যকার পূর্ব রাফা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এর আগে রোববার (৫ মে) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সেনাবাহিনীর কাছে অদূর ভবিষ্যতে রাফায় তীব্র আক্রমণ চালানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। খবর সিএনএন। 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই লিখিত বিবৃতিতে গাজাবাসীর উদ্দেশে বলেন, নিরাপত্তার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী আপনাদের অবিলম্বে সম্প্রসারিত মানবিক এলাকার চেকপয়েন্টগুলোতে সরে যেতে অনুরোধ করছে।

তিনি আল-শাওকার পৌরসভা এবং আশপাশের এলাকার আল-সালাম, আল-জানিনা, তিবা জারা এবং রাফাহ এলাকার আল-বায়ুকে বসবাসকারীদের অবিলম্বে এসব এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছেন। 

তবে আইডিএফের একজন মুখপাত্র সোমবার (৬ মে) এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সীমিত পরিসরে অপারেশন পরিচালনার জন্য সাময়িকভাবে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে, এটি দীর্ঘমেয়াদি উচ্ছেদের অংশ নয়।

৭ অক্টোবর থেকে মিশরের সীমান্তের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সে অঞ্চলেও বার বার সৈন্য পাঠানোর পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েল। 

তবে রাফায় আক্রমণ চালানো থেকে বিরত থাকতে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো বারবার অনুরোধ করেছে ইসরায়েলকে। এইড এজেন্সিগুলো রাফাতে পূর্ণ মাত্রায় স্থল আগ্রাসন শুরুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, যেকোনো স্থল অভিযানের অর্থ হবে আরো দুর্ভোগ ও মৃত্যু। সেই সঙ্গে উত্তর গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ অনুভব করা যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।

আইডিএফের মতে, রোববার (৫ মে) সকালে কমপক্ষে ১০টি রকেট আঘাত হানার পর ইসরায়েল কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার একদিন ব্যবধানে এ ঘোষণা আসে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন