এন্টারোভাইরাসের কারণে অনেকে গ্রীষ্মকালেও সর্দি-কাশিতে ভোগেন। এছাড়া গলা ব্যথা ও পেটের সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।
রাইনোভাইরাসের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন সময়ে এন্টারোভাইরাসের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। শীতকালেও এ প্রকোপ বেশি থাকে। সাধারণত সর্দি-কাশির চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। তবে ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
সাধারণত যে ধরনের উপসর্গ দেখা যায়—
- সর্দি
- কাশি
- শ্বাসকষ্ট
- মাথাব্যথা
- সাইনাস বা মাথায় চাপ
- গলা ব্যথা
- দুর্বলতা
- পেশি ব্যথা
- হাঁচি
শীতকালীন সর্দি-কাশিতে জ্বর নাও থাকতে পারে, তবে গরমকালে এন্টারোভাইরাসের কারণে সর্দির পাশাপাশি জ্বরও থাকে।
অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন যে গ্রীষ্মকালীন সর্দি শীতকালের চেয়েও বেশি স্থায়ী হয়। শীতের সর্দি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
এন্টারোভাইরাসের কারণে গরমে আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—
- মুখ ও গলায় ছোট ছোট ফোসকা হয়, সেই সঙ্গে হঠাৎ জ্বর আসা
- হাত ও পায়ে ফোস্কা থাকে এবং অনেকের ফ্লুর মতো উপসর্গ থাকতে পারে
- এক বা উভয় চোখে ফোলা ভাব ও লাল ভাব থাকা
এন্টারোভাইরাস মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের রোগ) ও মায়োকার্ডাইটিসের মতো গুরুতর ও প্রাণঘাতী অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা ও ঘরোয়া প্রতিকার
বেশির ভাগ গ্রীষ্মকালীন সর্দির পেছনে যে ভাইরাসগুলো দায়ী থাকে তা কোনো ওষুধে পুরোপুরি ধ্বংস করা যায় না। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এ রোগ নিরাময় করা যায়। যেমন—
- কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য ডিকনজেস্ট্যান্ট
- কাশির ওষুধ ও কাশির ড্রপ
- ব্যথানাশক এবং জ্বর উপশমকারী ওষুধ যেমন অ্যাসিটামিনোফেন এবং আইবুপ্রোফেন সেবন
- কুসুম গরম পানিতে গোসল
- গরম ভাপ নেয়া
- বাতাসের শুষ্কতা কমাতে এবং কাশি কমাতে ঘুমানোর সময় হিউমিডিফায়ার (এমন একটি মেশিন যেটি শুষ্কতা কমিয়ে বাতাসে আর্দ্রতা প্রদান করে) ব্যবহার করা।
শিশু ও ছোট বাচ্চাদের ওষুধ দেয়ার আগে একজন ব্যক্তির সর্বদা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়া একজন ব্যক্তির একাধিক ওষুধ সেবন এড়ানো উচিত, যদি না একজন ডাক্তার এটি করার পরামর্শ দেন।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে