সুন্দরবনে আগুনের ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে ২ কিলোমিটার। কাছাকাছি পানির সংকুলান
না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের। রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের এ আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে নিরাপত্তাজনিত
কারণে রাতে নির্বাপণ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেবাপ্রদানকারী সংস্থাটি।
সুন্দরবনে সংঘটিত অগ্নিদুর্ঘটনার হালনাগাদ সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে ফায়ার
সার্ভিস জানায়, সুন্দরবনের অগ্নি নির্বাপণে কার্যক্রম শুরু হয় ভোর ৬ টা থেকে। ৬টি ফায়ার
পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন খাল হতে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ
কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে
অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য
অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে। ভোলা ও শেওলা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে
অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রথম দিনের কার্যক্রমে
অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ও কর্মচারীসহ মোট ৫৫ জন। ভলান্টিয়ার প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ
কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী,
জেলা পুলিশের সদস্যরা পুরো সময়ব্যাপী অগ্নিনির্বাপণে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের যে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে সেটা
বুশ ফায়ার। বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এখনো আগুন ছড়িয়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি
প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার। এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান আছে। জীবজন্তু এবং ঘন বনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস
স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় না। অগ্নি নির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও নেই।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সকল ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেয়ার পর
নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করা হচ্ছে। পানির উৎস থেকে আগুনের দূরত্ব স্থানভেদে
আড়াই কিলোমিটার। চলাচলের রাস্তা দুর্গম। জেলা প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতে কার্যক্রম
বন্ধ রেখেছেন। সোমবার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে পুনরায় অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু
করা হবে।