ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর
সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি ও দুটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বসতি স্থাপনের
জন্য সহিংসতায় অভিযুক্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করায় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। খবর রয়টার্স।
চলতি বছরে এরই মধ্যে পাঁচ বসতি স্থাপনকারী
ও দুটি অননুমোদিত ইসরায়েলি স্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ইসরায়েলের
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান বিরূপতার
সর্বশেষ লক্ষণ।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, পূর্ববর্তী
নিষেধাজ্ঞায় ছিল এমন অভিযুক্ত বসতি স্থাপনকারীদের সমর্থন করার জন্য তহবিল সংগ্রহে প্রচার
চালিয়ে যাচ্ছিল নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে
থাকা তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের লেনদেন নিষিদ্ধ করা
হয়েছে।
ওয়াশিংটন ও তার মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে
জটিল সম্পর্ক গাজার যুদ্ধের মাধ্যমে পরীক্ষিত। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ও ফোরামের মতামত
বিরোধিতা করে তেল আবিবকে সাহায্য করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে সম্প্রতি ইরানের প্রতিশোধমূলক
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এল।
ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য পরিকল্পনায়
থাকা অঞ্চলে বসতি সম্প্রসারণের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে দেখিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়েও
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।
ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন
ডানপন্থী গোষ্ঠী লেহাভার প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা বেন-জিয়ন গোপস্টেইন। ইহুদি নয় এমন ব্যক্তিদের
সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্কের বিরোধিতা করেন তিনি। ধর্ম ও জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে আরব
বিরোধী আন্দোলনে তার বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। গপস্টেইন বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, লেহাভার
সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজার।
জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের
সহযোগী হিসেবে পরিচিত গোপস্টেইন, তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে।