গাজীপুরের
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (৩ মে) সকাল
১১টায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই
সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
সুব্রত
কুমার বালা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। অনেকগুলো
মামলা থাকায় তা যাচাই বাছাই করা হয়েছে। মামুনুল হক মুক্তি পাচ্ছেন, এ সংবাদ পেয়ে হেফাজতকর্মীরা
কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
না হওয়ায় সেদিন তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। আজ সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
গত
৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক
শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য,
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে
নেয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায়
অবস্থান করেন মামুনুল হক।
এ
ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে
পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা
করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও শুরু থেকেই ওই নারীকে তার
দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে তার
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার
দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।