রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু, প্রথম দিনে ঝামেলাহীন যাতায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

গতকাল থেকে ঈদুল ফিতর ‍উপলক্ষে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার প্রথম দিনে খুব একটা যাত্রীর চাপ ছিল না ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে (কমলাপুর)। দিনের বেশির ভাগ ট্রেন ছেড়ে গেছে কম-বেশি নির্ধারিত সূচি মেনে। অন্যদিকে গতকাল ঈদযাত্রার ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেল। এদিন বিক্রি করা হয়েছে ১৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট।

ঈদের ট্রেন চলাচল পরিদর্শনে গতকাল দুপুরে কমলাপুরে আসেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘‌এবার যাত্রীরা যেন ঈদে নিরাপদে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য আমাদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। এখানে আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি। যারা আসন পাবেন না তারা যেন অন্তত দাঁড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ঈদে যত লোক বাড়িতে যাবে, তাদের সবাইকে তো আমাদের পক্ষে পাঠানো সম্ভব নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌এবার ঈদে কালোবাজারি যেন টিকিট নিতে না পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব ব্যবস্থা কিন্তু যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আছে, র‍্যাব, পুলিশসহ সরকারি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। সাধ্যমতো আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।’

রেলের সক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘‌রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোচ আমদানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ২০০ বগি আমদানির জন্য অনুমোদন পেয়েছি। আশা করি এক বছরের মধ্যে ৭০০-৮০০ কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি করে ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা এবং মাল পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে পারব।’

রেলের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, ‘‌কোনো সংস্থাই চায় না সেই সংস্থার মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। আমরাও চাই না দুর্নীতি রেলের মধ্যে থাকুক। কেনাকাটায় সব জায়গায়ই কিছু না কিছু...অনেক বড় বড় জায়গায়ও হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে রেল অনেক ছোট জায়গা। অনেক নামিদামি জায়গায়ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্নীতি থাকে। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের রেলে কোনো ধরনের এ রকম কিছু না থাকে। আমরা চেষ্টা করব সব রকম দুর্নীতি বন্ধ করতে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন