অপহৃত শাখা ব্যবস্থাপকের পারিবারিক নাম্বারে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন

সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা থেকে এক টাকাও নিতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ফাইল ছবি

ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা থেকে এক টাকাও নিতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা। ব্যাংকের ভল্ট রুম রুমে প্রবেশ করতে না পারায় টাকা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম-উত্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় প্রায় একশ জন দুষ্কৃতকারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। রুমা শাখার নিচ তলায় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা মেস পদ্ধতিতে থাকেন। দোতলায় ব্যাংকের পাশের কয়েকটি রুমে থাকে ১০ জন পুলিশ। ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে পেলেও তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি ডাকাতরা। এজন্য কৃষি, সমবায়সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে দোতলায় উঠে পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে জিম্মি করে ফেলে ডাকাতদল। 

এরপর ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ভল্ট খোলার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। পুলিশের এক সদস্য অস্ত্রের মুখে (মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়) ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে দেখিয়ে দিলে তাকে মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের চাবি দিলেও তার নিজের চাবি প্রদান করেননি। যার কারণে ডাকাতরা ব্যাংকে প্রবেশ করলেও ভল্টে প্রবেশ করতে না পারায় ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে ধারণা করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। 

ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাকাতরা রাত ৮টার দিকে ব্যাংকে আসার কয়েক মিনিট আগে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার ব্যাংক ম্যানেজারকে নিয়ে রাত ৯টার দিকে চলে যাওয়ার ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসে। ডাকাতরা ব্যাংকে প্রবেশের আগেই মসজিদসহ রুমা বাজারে ওই সময় উপস্থিত থাকা সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল।

এদিকে রুমা শাখা ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নেজাম উদ্দিনকে কেএনএফের সদস্যরা তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো হদিস পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ভিপিএনের সহযোগিতায় নেজাম উদ্দিনের স্ত্রীর নাম্বারে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। একাধিক বার ফোন করে বিকাশ ও নগদ নাম্বারে ৩০ মিনিটের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে নেজাম উদ্দিনের ভিডিও-অডিও কিংবা মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তিরা ফোন কেটে দেয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন